ছবি পুলিশ সূত্রে পাওয়া
চট্টগ্রাম: গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক মানিক (২৭) নগরীর ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর হাজী মো.হারুনুর রশিদের বিশ্বস্ত অনুসারী। ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক কথিত আওয়ামী লীগ নেতা মো.সোলায়মান। এজন্য এলাকায় জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা মানিককে ‘পথের কাঁটা’ ভেবে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সোলায়মান। সন্ত্রাসী রমজানকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানিককে খুন করার জন্য পাঠিয়েছিলেন সোলায়মান।
গ্রেফতারের পর রমজান (৪০) পুলিশকে এই তথ্য দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।
রমজানকে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড থেকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
গত ৬ ডিসেম্বর ভোরে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় রমজান নামে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক।
বাকলিয়ার ওসি প্রণব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রমজান দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন।
চাকুরির জন্য বালু ব্যবসায়ী সোলায়মানের কাছে গিয়েছিলেন। সোলায়মান সুযোগ পেয়ে তার হাতে অস্ত্র দিয়ে মানিককে গুলি করার নির্দেশ দেন। মানিককে গুলি করার পর রমজান চাক্তাই খালে ঝাঁপ দেন।
কয়েকদিন কুমিল্লায় আত্মগোপনে থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পরই রমজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
পুলিশের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব বাকলিয়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো.হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি অসুস্থ। কাকে ধরেছে, সে কি বলছে কিছুই আমি জানি না। গত কয়েকদিন আমি থানায়ও যাইনি।
গুলির ঘটনায় মানিকের ছোট ভাই জাহেদুল হক আরজু বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাতে রমজানের সঙ্গে আসামি সোলায়মানও। এছাড়া তাজুল ইসলাম এবং ঈছা খাঁন নামে আরো দুজন আসামি তালিকায় আছেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মানিক বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।