রোববার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগর ভবন চত্বরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। দেশ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ নামের একটি সংগঠন এ প্রদর্শনীতে সহায়তা করছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বাঙালির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতির দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আত্মনিয়োগ করতে হবে সবাইকে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম স্বদেশ প্রেম, বিচক্ষণ রাজনীতি, সৎ ও আদর্শবান সাহসী নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি বিজয় অর্জন করে। অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা মেনে নেয়নি পাক হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদর চক্র। এ অপশক্তির প্ররোচনা ও সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় জাতীয় চারনেতাসহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিমের উপস্থাপনায় সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান।
বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র সংগ্রাহক মো. শাহাবুদ্দিন মজুমদার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এআর/টিসি