বৈঠক কতটা কার্যকর হয়, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় কিনা তা জানতে চেয়ে তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী যদি কার্যকর সভা না হয় তবে এ ধরণের বৈঠক করার প্রয়োজন আছে কিনা।
বৈঠকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কোনটায় বাস্তবায়ন হয় না মন্তব্য করে বিভাগীয় কমিশনার আগামীতে সভায় একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন নৌমন্ত্রীকে।
অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক আগে থেকেই বন্দর ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করে আসছিলেন উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবায়ন হয় না। বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে সবাই দায়িত্ব শেষ করেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১২ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নৌমন্ত্রী শাহাজান খান। ওই বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, শামসুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আবদুস সামাদ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহুবুলসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বে-টার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহণের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, ৯০৭ একর ভূমির মধ্যে ৬৮ একর ভূমি (ব্যক্তি মালিকানাধীন) অধিগ্রহণে ৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাকি জমিগুলো বিভিন্ন সংস্থার। ফলে কিছু জটিলতা রয়ে গেছে।
তথ্য জানানোর পর নৌমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবদুল মান্নান বলেন,‘ অনেকেই বলেন বন্দর উপদেষ্টা কমিটির মিটিং ইভেকটিভ হয় না। যদি না হয় তবে এ ধরণের বৈঠক করার প্রয়োজন আছে কিনা। ’
‘মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলে উচ্চ পর্যায়ে যেতে হয় কিনা, যদি উপরে যেতে হয়, এই কমিটির (বন্দর উপদেষ্টা কমিটি) দরকার কী। ’
মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘মন্ত্রী মহোদয় গত বৈঠকে আপনি ডেনজারেজ কার্গো খালাসের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিগত এই নয় মাসে আপনি দেখেছেন, দ্রুত খালাস হয়েছে কিনা। আপনারা সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেন। ফলে বাস্তবায়ন হয় না। অনেক এজেন্ডা নেওয়ার দরকার নেই। একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটিই বাস্তবায়ন করুন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমইউ/টিসি