ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমি নই, তারাই অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
আমি নই, তারাই অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে আমি নই, তারাই অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে

চট্টগ্রাম: বন্দরে লস্কর নিয়োগ নিয়ে যারা নানা অভিযোগ তুলেছেন তারা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর পেছনে রাজনৈতিক হীন স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। বিগত ৮ বছরে বন্দরে অসন্তোষ হয়নি।

বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

তিনি বলেন, ইদানিং বলা হচ্ছে আমি নাকি অযাচিত হস্তক্ষেপ করছি।

অযাচিত হস্তক্ষেপ কি আমি সেটাই বুঝি না। বরং যারা বন্দর নিয়ে কথা বলছেন তারাই তো অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন। কারণ আমি আইন মেনে দায়িত্ব পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন বলেই চট্টগ্রামে এসে কাজ করছি। কথা বলতে চাইলে এখানে এসে বলতে হবে। কমিটির বাইরে গিয়ে বলবেন না।

লস্করসহ বন্দরে এ পর্যন্ত যেসব নিয়োগ হয়েছে সেখানে মন্ত্রী হিসেবে স্বজনপ্রীতি করেননি দাবি করে শাজাহান খান বলেন,‘বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি। নিয়োগের ক্ষেত্রে আমি স্বজনপ্রীতি করছি না। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কাজ করছি। অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ’

চট্টগ্রামের একজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমি নাকি ৯২ জন লস্কর নিয়োগ দিয়েছি। এরমধ্যে ৯০ জন মাদারিপুরের কেবল ২ জন চট্টগ্রামের। এ ঘোষণায় অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আসিফ নজরুলের মতো মানুষ ফেসবুকে লিখেছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। ’

লস্কর পদে ২৬ জেলা থেকে ৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৮ বছরে ১১৫ পদে ১ হাজার ৯৪৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনগণকে বিভ্রান্ত না করে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত না করে সত্য প্রকাশ করুন। আমি অসত্যের কাছে, মিথ্যার কাছে মাথা নত করিনি। যেটা ভাল সেটাই করি।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১২ তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌমন্ত্রী। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একটি খুশির খবর দিয়ে আজকের সভা শুরু করতে চাই। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন লয়েট লিস্টে বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮ তম। বিগত আট বছরে ২৭ ধাপ এগিয়ে এবার ৭১ তম অবস্থানে এসেছে।

‘এটি প্রমাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর পিছিয়ে নেই। এ মাসেই আমরা সার্টিফিকেট পাব। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে আমরা এ আনন্দ উদযাপন করবো। ’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, শামসুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আবদুস সামাদ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহুবুল আলম, বিজিএমইএ এর প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, চেম্বার পরিচালক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলেম উদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো.জাফর আলম, কমডোর শাহীন রহমান(হারবার অ্যান্ড মেরিন), প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) নজমুল হক, পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সরওয়ার, সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।