ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যেই পাখি সহজেই পোষ মানে

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
যেই পাখি সহজেই পোষ মানে যেই পাখি সহজেই পোষ মানে। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) তৃতীয় পোষা প্রাণীমেলায় অস্ট্রেলিয়ান লরিকেট পাখিসহ ৩০০ প্রজাতির পোষাপাখি প্রদর্শিত হয়েছে।পাশাপাশি ২৫০টি সৌখিন কবুতর, ২০টি রেসার কবুতর এবং ৩০টি হাই ফ্লাইয়ার কবুতরসহ মাছ ও পোল্ট্রিও প্রদর্শিত হয়।

প্রতিবছর পাখি মেলায় ককাটাইল, ফিঞ্চ, কাকাতুয়া, বাজেরিগার, কুনোর, জাভা, ম্যাকাও, ব্লু-হেডেড ম্যাকাও, কেকালিনা কাকাতুয়া, গ্রে-প্যারট, র‌্যাম্প, ক্রিমসন, ভেলিট কুনোর, রুবিনো, রোজিলা, মিলি রোজেলা, ক্লু-ক্রাউন কুনোরসহ বিদেশি নানা প্রজাতির পাখির মধ্যে এবার সবচেয় নজর কেড়েছে লরিকেট নামে একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের পোষা পাখি।  

চিটাগাং বার্ড ব্রীডার্স অ্যাসোসিয়েশন এ লরিকেট জাতের পাখিটি প্রদর্শনীতে এনেছে।

পাখিপ্রেমীরাও এ লরিকেট জাতের পাখির স্টলে ভিড় করতে দেখা গেছে।

পাখি বিক্রয়কর্মী মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, লরিকেট জাতের পাখির মধ্যে রেইনবো লরিকেট, রেট লরিকেট, ক্যাটারিং লরিকেট জাতের পাখি দর্শনার্থীদের পছন্দ বেশি।

অস্ট্রেলিয়ান জাতের লরিকেট পাখি সহজেই পোষ মানে। দেখতে কালারপুল হওয়ায় পাখিপ্রেমীরা এ জাতের পাখিগুলোকে বেশি পছন্দ করে। ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটারের এসব লরিকেট পাখির আয়ুকাল প্রায় ২০ বছর। এসব পাখিদের ফল ও ফুলের রস খাওয়াতে হয়। সবসময় কিচিরমিচির করে।

লরিকেট জাতের পাখি বেবি পেয়ার ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করা হয় বলেও জানান এ বিক্রয়কর্মী।

পাখিমেলায় আগ্রাবাদ থেকে আসা সাইফুল নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গতবছরের পাখিমেলায় দেখে আমি দেওয়ানহাটের একটি পোষা পাখি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে এক পেয়ার লরিকেট জাতের পাখি কিনে নিই। এরপর থেকে এখনো আমার বাসার বেলকনিতে আছে। সকাল ও সন্ধ্যায় এ লরিকেট পাখির কিচিরকিচির শব্দ পুরো বাসাটাকে ঘরটাকে অনেক প্রাণবন্ত করে রাখে। যা সত্যিই অপূর্ব। যদিও অস্ট্রেলিয়ান এ লরিকেট পাখির দাম একটু বেশি। তবুও সখের বশে কিনেছি। এসব পাখি সহজেই পোষ মেনে নেয়। ’পাখি

একইভাবে মেলায় ২৫০ প্রজাতির কবুতর প্রদর্শিত হয়েছে। এরমধ্যে কবুতর কিং, লাহোরি, জেকোবিন, ফিন্ডব্যাক, সর্ট ফেইস, লং ফেইস, হোয়াইট টপ বোখারা, বোখারা, আমেরিকান ফেনটেইল, হাউজ পিজিওন, পোমারিয়ান পোটার, মন্টেনা, ফ্রেঞ্চ মন্ডেইন, ম্যাকপাই পোর্টার, মংক কোমরনা, মুক্ষী, সাটিন, পেন্সিল বল, রেন্টি, আর্চ-এঞ্জেল, গ্রিজেল, ব্লু-চেক, কাচুরী, নোল্ডেন জাতের কবুতর দেখতে শ্রোতাদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো।

পাখিমেলা দেখতে আসা সাদাত হোসেন নামে ইস্পাহানী স্কুলের এক শিক্ষার্থী জানান, পাখিমেলায় একসাথে ‍অনেক জাতের পাখি দেখা যায়। যা সত্যিই আনন্দের। টেলিভিশনে যেইসব বিদেশি পাখি আমরা দেখি, সেইসব পাখি এ পাখিমেলায় একসাথে দেখতে পাই।

চট্টগ্রাম ফেন্সী পিজিয়ন ব্রিডার্স এসোসিয়েশনের জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে বিদেশি জাতের পাখি-কবুতর পালন যেমনি বাড়ছে। তেমনি বাড়ছে কর্মসংস্থানের একটি ক্ষেত্র। কেননা, সৌখিন জাতের এসব পাখি পালনের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক তরুণ খারাপ কাজ থেকে দূরে সরে আসছে। শখের বশিভূত হয়ে পাখিপ্রেমীরা পোষাপাখি আমদানী করে দেশে বিক্রি করছে। তাই প্রতিবছর বড় পরিসরে এ পাখিমেলা আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।