ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালদা দেখে জোরালো হল নদী বাঁচাও দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
হালদা দেখে জোরালো হল নদী বাঁচাও দাবি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন হালদা ছবির পরিচালক-কলাকুশলীরা। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: হালদা চলচ্চিত্রের মূলে রয়েছে নদী বাঁচাও, মা মাছ বাঁচাও। এর কলাকুশলীরা চট্টগ্রামে এসে আরেকবার আবেদন জানালেন ‘হালদা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’। শুধু তারা নন-আলমাস সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে আসা দর্শকদের মুখেও একই উচ্চারণ-‘ছবিটা নদী রক্ষার দাবি তুলে দিল। আমরাও ছবির গল্পের সঙ্গে একমত।’

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) দর্শকদের সঙ্গে বসে হালদা চলচ্চিত্রটি দেখতে এসেছিলেন ছবিটির পরিচালক তৌকির আহমেদ, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, রুনা খান, জাহেদ আলী সুজন, সুজাত শিমুল, ছবিটির সংগীত পরিচালক পিন্টু ঘোষ, ছবিটির গল্পকার আজাদ বুলবুল প্রমুখ।

হালদা নদী রক্ষা কমিটির –নামের একটি সংগঠন আলমাস সিনেমা হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। হালদা নদী রক্ষা কমিটির  সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী প্রমুখও এতে বক্তব্য দেন।

প্রথমে বিকেল সাড়ে তিনটায় সবার সামনে বক্তব্য দেন চলচ্চিত্রটির কলাকুশলীরা। পরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তারা। দর্শকদের মুখোমুখী তিশা

ছবিটির পরিচালক তৌকির আহমেদ বলেন, হালদা নদীর অবস্থা যেমন করুণ, তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থাও খুব করুণ। সেখানেও একই। বেশিরভাগ হলের অবস্থা ভালো না। ছবির মানও খারাপ। তাই দর্শকরা হলবিমূখ হয়ে পড়ছেন। তাই আমরা চাই দর্শকরা হলমুখী হোক। আমরা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যেন ভুলে না যাই সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা চাই চট্টগ্রাম থেকেই আওয়াজটি ওঠুক, নদী বাঁচাতে চাই, আমরা আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে চাই। হালদা নদীর কথা সারাদেশের মানুষকে বলতে চাই।

নুসরাত ইমরোজ তিশার মুখেও ছিল হালদা নদী রক্ষার দাবি।

তিনি বলেন, হালদার ভাষা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে আমরা দিনরাত কষ্ট করেছি। চট্টগ্রামের ভাষাকে সহজভাবে বলার চেষ্টা করেছি। সবাই ছবিটি দেখলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। কথা বলছেন ছবিটির কলাকুশলীরা

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন,  ভালো চলচ্চিত্রের দর্শক যে আছে, তা দর্শকদের আগ্রহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হালদা শুধু চট্টগ্রামের না এটা সারাদেশের সম্পদ। এটা রক্ষার জন্য চট্টগ্রামে আন্দোলন হচ্ছে। হালদাকে বাঁচানোর জন্য  তৌকির আহমেদসহ ছবিটির কলাকুশলীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা চট্টগ্রামবাসী সারাজীবন মনে রাখবে। ’

সালাম। হালদা নদী রক্ষা কমিটির  সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী তাদের বক্তব্যে হালদা নদী রক্ষার পাশাপাশি এই নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি জানান।

তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, এটা দেশের বড় সম্পদ। এটাকে জাতীয় নদী রক্ষার দাবির সঙ্গে তাই আমি একমত আছি। এভাবে প্রতিটি নদী রক্ষাই আমাদের দাবি।

সবশেষে তিনি বলেন, ছবিটির গল্প নদী ও নারী। আমরা নদীর প্রতি যেমন অবিচার করছি, তেমনি নারীর প্রতিও নির্যাতন করছি, এমনকি খুনও করছি। ছবির মাধ্যমে আমরা নদী ও নারী দুটোই নিরাপত্তা পাক সেটিই চাই।

কথা হয় আলমাস সিনেমা হলে হালদা ছবিটি দেখতে আসা বেশ কয়েকজন দর্শকের সঙ্গে।

তাদেরও বক্তব্য-হালদা নদী বাঁচানোর জন্য চট্টগ্রামবাসীর যে দীর্ঘদিনের আন্দোলন। এই ছবিটি সেই আন্দোলনকে পথ দেখাবে বলে আমরা মনে করি। এর মাধ্যমে নদীটি রক্ষায় সমাধান বের হয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।