ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেয়র নাছিরকে মুক্তিযোদ্ধাদের ১১ প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
মেয়র নাছিরকে মুক্তিযোদ্ধাদের ১১ প্রস্তাব মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মুক্তিযোদ্ধারা

চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলোর স্মৃতি স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাবনা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গ্রুপ কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএলএফ ট্রেনিং ক্যাম্প প্রশিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমেদ এসব প্রস্তাব দেন।

এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, ফয়’স লেক বধ্যভূমি সিটি করপোরেশনের আওতায় সংরক্ষণ করা, লালদীঘি মাঠে যে স্থানে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন সেখানে স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ, ঈদগাহ কাঁচা রাস্তার মাথায় তৎকালীন বিডিআর শহীদদের স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণ, দক্ষিণ কাট্টলী নাথপাড়ায় বধ্যভূমি সংরক্ষণ, সোয়াত জাহাজ থেকে গুলিবর্ষণ করে মানুষ হত্যার স্থানটি নির্ধারণ করে স্মৃতি সংরক্ষণ করা, শহীদ স্বপন চৌধুরীর ভাস্কর্য স্থাপন, শহীদ রফিক সড়কে ভাস্কর্য স্থাপন, ১৯৬০ এর দশকের নেতৃবৃন্দসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা ও গলির নামকরণ এবং সিআরবিসংলগ্ন কাঠের বাংলো সংরক্ষণ ইত্যাদি।

 

মেয়র মুক্তিযোদ্ধাদের সব দাবি যুক্তিযুক্ত আখ্যায়িত করে বলেন, এ সব দাবি বহুপূর্বেই বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন ছিল। কালের বিবর্তনে আজ আমার হাতে দায়িত্ব অর্পিত হওয়ায় এ সব দাবি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম ঐতিহাসিকভাবে আন্দোলন সংগ্রামের একটি তীর্থ স্থান। আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার এ চট্টগ্রাম। এ চট্টগ্রাম থেকে ৬ দফার ঘোষণা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ এ চট্টগ্রাম থেকে সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার পক্ষে আমি আছি।

মতবিনিময় সভায় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা মো. হারিছ, দেওয়ান মাকসুদ আহমদ, খলিল উল্লা সর্দার, মো. আবদুল গফুর, নৌ-কমান্ডার মো. আনোয়ার মিয়া, আবদুল নুর, আবদুল মাবুদ, মো. মঞ্জু মিয়া, সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাহিদ আহমদ, মো. জয়নাল আবদীন, মুকুল দাশ, মো. মঞ্জু মিয়া, আবু তাহের, আবদুল লতিফ, এসএম সাবের উল আলম, মো. সাইফুল আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।