ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৩২ মন্ত্রণালয়ে চসিকের পাওনা ১৪২ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
৩২ মন্ত্রণালয়ে চসিকের পাওনা ১৪২ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: ৩২ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গৃহকর ও রেইট বাবদ পাওনা ১৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৭ টাকা।

মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান পৌরকর পরিশোধ করতে পারছে না জানতে পেরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সই করা ওই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে।

চসিকের গৃহকর ও রেইট পরিশোধের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বা বিভাগের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ প্রদানে সহায়তা চেয়ে চিঠিতে বলা হয়, চসিকের আয়ের মূল উৎস গৃহকর ও রেইট। নগরবাসীর সার্বিক সেবা প্রদান নিশ্চিতকল্পে করপোরেশনে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, নগরীর আবর্জনা অপসারণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়ক আলোকায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খাল খনন ও নালা-নর্দমা সংস্কারপূর্বক জলাবদ্ধতা নিরসন ইত্যাদি বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সিংহভাগ ব্যয় গৃহকর ও রেইট থেকে নির্বাহ করা হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিকট চসিকের বিপুল অঙ্কের বকেয়াসহ হাল গৃহকর ও রেইট পাওনা রয়েছে।

৩২ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চসিক ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বকেয়া পাবে ১২৮ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ২৭২ টাকা। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের হাল গৃহকর ও রেইট বাবদ পাওনা ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮২ হাজার ৬০৪ টাকা।

মো. সামসুদ্দোহা বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে পৃথক চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি জানান, পুরোনো অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী হাল কর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গৃহকর পরিশোধে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩২টি মন্ত্রণালয়ে পৃথক চিঠি দিয়েছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সর্বশেষ গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) ৮৬ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধে অর্থ বরাদ্দের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন মেয়র।

৩২ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম ওয়াসার কাছে হাল দাবি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৬৫০ টাকা, জেলা পরিষদের কাছে হাল ও বকেয়া মিলে ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৮০২ টাকা, লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছে হাল দাবি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, হাল ও বকেয়া মিলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৮ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (জেলা প্রশাসন) কাছে ২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কাছে ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা, জাতীয় মৎস্য সমবায় সমিতির কাছে ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৭২৩ টাকা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা, জেলা প্রশাসকের (কোর্ট হিল) কাছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৮ টাকা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর (পাবলিক হেলথ) কাছে ৩০ হাজার ৪ টাকা মিলে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ১০৫ টাকা পাওনা রয়েছে চসিক।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।