ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকল্পের গবেষক হলেন শামসুল

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকল্পের গবেষক হলেন শামসুল

চট্টগ্রাম: এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের এনসাইক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশন প্রজেক্ট এর আওতায় সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় নিবন্ধকার এবং পটিয়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলায় তথ্যসংগ্রাহক, গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বনামধন্য লোক গবেষক ও কবি শামসুল আরেফীন।

জানা গেছে, বাংলাপিডিয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ নেয় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঁচ খণ্ড করে মোট দশ খণ্ডে এটি প্রকাশিত হবে।

ছাপা অক্ষরের পাশাপাশি অনলাইন, সিডি ও ডিভিডিতেও এটি পাওয়া যাবে।

এনসাক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশনএর প্রধান সম্পাদক, প্রকল্প পরিচালক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এই প্রকল্পের আওতায় পটিয়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলায় তথ্যসংগ্রাহক, গবেষক ও নিবন্ধকার হিসেবে নিয়োগদানের পর সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় শামসুল আরেফীনকে নিবন্ধকার হিসেবে নিয়োগ দেন।

১৯৭৭ সালের ২০ নভেম্বর চন্দনাইশ উপজেলা সদরে শামসুল আরেফীনের জন্ম। বাবা আবদুল মোবিন ও মা তমনারা বেগম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পড়াশোনা শেষ করে শামসুল আরেফীন ৯০’র দশকের প্রথমে ছড়া-কবিতা লেখা শুরু করেন। শুন্য দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক, সাহিত্য পত্রিকা, বিভিন্ন শিশুতোষ পত্রিকা ও ছড়া সংকলনে অনেক ছড়া ও কিশোর কবিতা লেখেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি লোকগবেষণায় সম্পৃক্ত হন।

বিলুপ্ত ও বিস্মৃতপ্রায় লোক কবি ও রচনা উদ্ধারে কাজ করেন। এই কারণে তিনি দিনের পর দিন চট্টগ্রামের পথে-প্রান্তরে পায়ে হেঁটেছেন এবং বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাঁর আবিষ্কৃত-বর্ণিত, বিলুপ্ত ও বিস্মৃতপ্রায় লোক কবি শতাধিক। চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশন থেকে তাঁর প্রকাশিত ১২টি গ্রন্থের মধ্যে আহমদ ছফার অন্দরমহল (২০০৪),আস্কর আলী পণ্ডিত: একটি বিলুপ্ত অধ্যায় (২০০৬), রুবাইয়াত-ই-আরেফীন (কাব্য; ২০১৪), বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার দুর্লভ দলিল (২০১৬), আঠারো শতকের কবি আলী রজা ওরফে কানুফকির (২০১৭) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

 বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ০৭, ডিসেম্বর ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।