ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কবিতার শহরে কবিতার উৎসব ২২-২৫ ডিসেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
কবিতার শহরে কবিতার উৎসব ২২-২৫ ডিসেম্বর মতবিনিময় করেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া, মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম ও মিঠু তলাপাত্র।

চট্টগ্রাম: ‘কবিতার শহর’ চট্টগ্রামের কবিদের নিয়ে চার দিনের উৎসবের আয়োজন করছে বাচিক শিল্পচর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’। ২২-২৫ ‍ডিসেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কবিতা’ শীর্ষক এ উৎসব হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে উৎসব নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান আয়োজকরা। মতবিনিময় করেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সভাপতি ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু তলাপাত্র।

ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া বলেন, এ জনপদের কবি, ছড়াকার, আবৃত্তিশিল্পীদের নিয়ে নিয়মিত আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু কবিতা উৎসব তার মধ্যে ব্যতিক্রম।

প্রথমত এটি চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক উৎসব। দ্বিতীয়ত এর ব্যাপ্তি চার দিন। আমরা সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে উৎসব সফল করতে চাই। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সভাপতি ডো. ভাগ্যধন বড়ুয়া

মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কবিতা’ স্লোগানে আমাদের যে উৎসব তাতে প্রবীণদের পাশাপাশি একঝাঁক নবীন কবি, ছড়াকার, আবৃত্তিকারকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যারা পড়বেন, বলবেন সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এটিই আমাদের বড় লক্ষ্য।

তিনি বলেন, উৎসবে আমরা কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিকারদের বইয়ের স্টল রাখব। যেখানে ৫০ শতাংশ ছাড়ে পাঠক বই ও সিডি কিনতে পারবেন।

মিঠু তলাপাত্র বলেন, এ উৎসব প্রথম ও ব্যতিক্রমী আয়োজন। আমাদের সুদূরপ্রসারী চিন্তা রয়েছে। প্রতিবছর এ উৎসব করতে চাই। উৎসবে আমরা তিনটি প্রকাশনা বের করব। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আবৃত্তির কবিতা গ্রন্থ ‘হে মহাসাগর’, ছড়াকারদের অপ্রকাশিত ছড়া নিয়ে সংকলন ‘ছন্দে ছড়ায় স্বদেশ’ ও ‘কবিতা সংকলন’।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম

তপন চক্রবর্তী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কবিতা ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করবে। উৎসবে প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণ কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিকারদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে নবীন-প্রবীণদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হবে। তারা দেশপ্রেমে, সম্প্রীতিতে উজ্জীবিত হবে। সবচেয়ে বড় কথা, চট্টগ্রামের কবি-ছড়াকার, আবৃত্তিকারদের পাশাপাশি সৃজনশীল সংস্কৃতিকর্মীদেরও মিলনমেলা হবে।

আয়োজকরা জানান, উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু তলাপাত্র

দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি থাকবেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। তৃতীয় দিন কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে শিশু উৎসবে অতিথি থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী বেগম মুশতারী শফী ও শিশুসংগঠক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম। সমাপনী দিন সকালে কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিকার-সংস্কৃতিকর্মীদের সম্মিলন ও বিকেলে ‘কবিতার মিছিল’ শীর্ষক শোভাযাত্রা। প্রধান অতিথি থাকবেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।