ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়বে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়বে  ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা

চট্টগ্রাম:  জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়বে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত। বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি), বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, ‘বিশ্বের বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ও এইচএফসি গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে তাপমাত্রা বাড়া শুরু হয়েছে।
বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ২৮০ পিপিএম থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০৩ পিপিএম। আগামী ১০০ বছরে ৬০০ পিপিএম হতে পারে।
এই সময়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়লে মহাবিপদ হবে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় বদলে যাবে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসেও বন্যা হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে অক্টোবর মাসেও। যেখানে বৃষ্টি হওয়ার কথা সেখানে হবে না। যে পরিমাণ হওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি হবে। ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস বাড়বে। পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে। রোগবালাইও বাড়বে। ’
 
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এর ফলে খাদ্য সংকট, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, ইকোসিস্টেম ধ্বংস হতে পারে। খাদ্য সংকট রোধে সারাবিশ্ব এখন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বাড়তে না দেওয়ার পক্ষে কাজ করছে। তাপমাত্রা বাড়লে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পাবে উল্লেখ করে আইনুন নিশাত বলেন, ধান গমের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নষ্ট হবে। এটি চরম সংকট সৃষ্টি করবে সারা বিশ্বে।
 
আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সহ সভাপতি উদয় শেখর দত্ত।
 
কাতার ও সৌদি আরব পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করে জানিয়ে আইনুন নিশাত বলেন, বাংলাদেশ অ্যাকশন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণা, কার্বন ডাই অক্সাইড কমানো, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সর্বোপরি জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা বিশ্ব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বাড়তে না দেওয়া। বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জলবায়ু পরিবর্তন শব্দটি যুক্ত করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এসবি/টিসি
 
 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।