চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) নীরবতায় চট্টগ্রাম নগরী খুনি ও খুনের শহরে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ভোরে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় রমজান নামে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক।
এর প্রতিবাদে বিকেলে বাকলিয়ায় ছাত্রলীগের এক প্রতিবাদ সমাবশে সংগঠনটির নগর শাখার সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, চট্টগ্রামকে খুন ও খুনীর নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। সুদিপ্ত, দিয়াজ, সোহেলের হত্যাকারীরা দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ তাদের আটক করেনি।
‘বারবার খুনের পক্ষে, খুনীর পক্ষে সিএমপির এই নীরব অবস্থান অপরাধীদের উৎসাহিত করেছে। খুনীদের সর্বশেষ শিকার ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক মানিক। ’
সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি বলেন, মানিককে রমজান নামের এক সন্ত্রাসী খুন করার জন্য গুলি করেছিল। মানিক এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার ফুসফুস ছিদ্র হয়ে গেছে। এই ধরনের জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।
‘আমরা প্রশ্ন করতে চাই কে এই রমজান ? রমজান মূলত ভাড়াটে হিসাবে একটি প্রভাবশালী মহলের হয়ে কাজ করেছে। এর থেকে প্রমাণ হয় চট্টগ্রামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন চলছে। চট্টগ্রামের পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখন নির্দেশও মানে না। ’
সমাবেশ থেকে ৮ ডিসেম্বর বিকেলে বাকলিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় বাকলিয়া থানার সামনে অনশন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, নাঈম রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগির, উপ প্রচার সম্পাদক আবদুল হালিম মিতু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল জোবায়ের হিমু।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
আরডিজি/টিসি