তিনি বলেন, ন্যাশনাল ক্যাপাসিটি সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ২০০৭ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রিও কনভেনশনগুলোর অধীনে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে করণীয় অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেছে। সে অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং মরুময়তা ও ভূমির অবক্ষয় রোধের লক্ষ্যে মানবসম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নলেজ শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অন রিও কনভেনশনস শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুল কাদির, রিও প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মো. রাইসুল আলম মণ্ডল বলেন, আমরা বর্তমানে যে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি তার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, ভূমির অবক্ষয় এবং মরুময়তা অন্যতম। বিশ্বব্যাপী এ চ্যালেঞ্জগুলো সঠিক ও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজন অংশীজনদের সঠিক কর্মপরিকল্পনা। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, ভূমির অবক্ষয় সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায় এগিয়ে এসেছিল ১৯৯২ সালে যা রিও কনভেনশন নামে পরিচিত। বাংলাদেশ তখন থেকেই এ যাত্রার সঙ্গী। বাংলাদেশ তিনটি রিও কনভেনশনের অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা, কৃষি ও আবাদি জমি সংরক্ষণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এআর/টিসি