শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র্যালি বের হয়। এর আগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী ও আসিফ সিরাজ এবং সিইউজের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।
এসময় সিইউজের অর্থ সম্পাদক উজ্জল কান্তি ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শুভ, সাংবাদিক অনিন্দ্য টিটো, রাজেশ চক্রবর্তী, এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, সোহেল সরওয়ার ও প্রীতম দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে। ৪৬ বছর আগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতাকামী সাত কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
‘তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ’
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রকৃত ডাক। বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যুদ্ধ ছাড়া বাঙালির মুক্তি হবে না। সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙালির সম্পদ নয়। এটি এখন সারা বিশ্বের সম্পদ। এটি এখন সার্বজনীন ঐতিহ্য।
র্যালি ও সমাবেশ শুরুর আগে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাজানো হয়।
র্যালির পর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। বাদ্য বাজিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে চট্টগ্রামের সংবাদকর্মীরা এতে মিলিত হন। র্যালি নগরীর জামালখান, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা হয়ে আবারো প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি