ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘৪০ বছর অবহেলিত ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
‘৪০ বছর অবহেলিত ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৪০ বছর অবহেলিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’হিসেবে স্বীকৃতি লাভ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে নগরীর সার্কিট হাউজে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
 
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ছিল।
এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটিকে রাজাকার-আলবদরেরা ৪০ বছর বঞ্চিত ও অবহেলিত করে রেখেছিল।
যেটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। ’
 
‘নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য জানাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। ’ যোগ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
 
উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহুবব আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
সরকারি নির্দেশনায় বাঙালী জাতির এই অসামান্য অর্জনকে উদযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রায় নগরীর সরকারি-বেসরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যলয়, কলেজ, স্কুলের হাজারো লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে উপস্থিত হয়। যাদের সকলের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‌ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য নিয়ে লেখা পতাকা। এছাড়াও হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দল আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
 
শোভাযাত্রাটি নগরীর সার্কিট হাউজ থেকে শুরু হয়ে লালদীঘি মাঠে গিয়ে শেষ হয়।  সেখানে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের উপর নির্মিত ডক্যুমেন্টারি এলইডি স্ক্রিনে সম্প্রচার, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।