ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সবকিছুতেই চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মনোভাব নৌমন্ত্রীর: নোমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
সবকিছুতেই চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মনোভাব নৌমন্ত্রীর: নোমান সবকিছুতেই চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মনোভাব নৌমন্ত্রীর: নোমান

চট্টগ্রাম: দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম বন্দরকে দুর্নীতি ও লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী সবকিছুতে চট্টগ্রাম বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন।

সম্প্রতি লস্কর পদে নিয়োগ দেওয়া ৮৫ জন সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা অভিযোগ করে তিনি বলেন, এভাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর চলতে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রামের স্বার্থে চট্টগ্রামবাসীকে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

‘চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামবাসীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং বিতর্কিত লস্কর পদে নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ’

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে উত্তর জেলা বিএনপির প্রয়াত ৫ নেতার স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে নোমান বলেন, কিন্তু সরকারের সে ষড়যন্ত্র আমরা সফল হতে দেব না।

খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন বিএনপি বাংলাদেশে হতে দেবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রেক্ষাপট আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া কোন নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না।

চট্টগ্রাম নগরী এখন একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীর রুপ ধারন করেছে মন্তব্য করে নোমান বলেন, বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতেও নগরী প্লাবিত হচ্ছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকা- এখন নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও এর কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে অনেকটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মত। নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থ হলেও সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স ২০০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে।

উত্তর জেলা বিএনপির প্রয়াত পাঁচ নেতা হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এ জেড এম বজলুল করিম, নুরুল আবছার চৌধুরী পাখি, আহসানুল হক হাসান, আলী আহমদ ও কাজী মুছা।

প্রয়াত ৫ নেতাকে স্মরণ করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, প্রয়াত এই ৫ নেতা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির অকুতোভয় সৈনিক। দলের জন্য তাঁদের যথেষ্ট আত্মত্যাগ ছিল। তাঁদের আদর্শকে অনুসরণ করে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।

স্মরণ সভা উদযাপন কমিটির আহবায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মিথ্যা মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। সকল ভেদাভেদ ভুলে দলকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক নূরী আরা সাফা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আজম খান, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, সেকান্দর চৌধুরী, ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. খুরশীদ জামিল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।