শুধু জাতিসংঘ নয় কোনো মানবাধিকার সংগঠনও এসব বিষয়ে সঠিত তথ্য দিতে পারবে না। কারণ মিয়ানমার অবাধ বিচরণের অধিকার দেয়নি।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের হোটেল প্রবালের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর লুইস অবিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের মধ্যে যে চুক্তি হবে তার ওপর নির্ভর করবে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি। তবে চুক্তিতে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার পান। তা না হলে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিলেও তারা পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হবেন। আগেও তারা ফিরে গিয়েছিলেন। পরে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে আসেন। চুক্তিতে স্থায়ী সমাধানের বিষয় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।
তিনি জানান, উখিয়া টেকনাফে বর্তমান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার । এর মধ্যে পুরুষ না থাকায় ১৫ ভাগ পরিবারের প্রধান নারী। এতিম শিশু আছে ৩৬ হাজার।
প্রেস বিফ্রিয়য়ে আরও বক্তব্য দেন ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র পাবলিক রিলেশন অফিসার আবু আসাকার ও পাবলিক রিলেশন অফিসার যোসেফ ত্রিপুরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এআর/টিসি