বহদ্দারহাট থেকে আগ্রাবাদ যেতে ‘মেট্রো প্রভাতী’ সার্ভিসের যাত্রীদের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জন্য বাড়তি দিতে হচ্ছে ১২ টাকা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত এ সার্ভিসের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ফ্লাইওভার সার্ভিস’।
ব্যাংকার সাইফুল ইসলাম প্রতিদিন সকালেই বহদ্দারহাট থেকে আগ্রাবাদের কর্মস্থলে যান। তিনি বলেন, মেট্রো প্রভাতী সার্ভিসের বাসেই নিয়মিত যাই।
তাসলিমা আকতার আগ্রাবাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তার কণ্ঠেও বিস্ময়। বললেন, আজব দেশ। একই পথে দুই রকম ভাড়া। কিলোমিটার প্রতি যেখানে ভাড়া নির্ধারিত সেখানে ফ্লাইওভারের জন্য বাড়তি ভাড়া, তা-ও আবার টোল ফ্রি ফ্লাইওভারের ক্ষেত্রে। এসব দেখার কেউ নেই।
সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্রী সাদিয়া মুনতাহা বললেন, সিটি সার্ভিস তো সিটিং সার্ভিসে পরিণত হয়েছে। নারী আসনে পুরুষরা বসে থাকেন। ভিড় ঠেলে, নীরব শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে মেট্রো প্রভাতী সার্ভিস বেছে নিয়েছিলাম। অনেক ডাকঢোল পিটিয়ে এসি, ওয়াইফাইসহ যেসব সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল তা-তো পাচ্ছি না যাত্রীরা। তারপরও মন্দের ভালো এ সার্ভিস। বাণিজ্যিক রাজধানী করতে হলে সত্যিকারের মেট্রো প্রভাতী দরকার।
মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল ‘ফ্লাইওভার সার্ভিস’র বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বহদ্দারহাট থেকে আগ্রাবাদ গিয়ে ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অফিস করেন এমন কিছু যাত্রীর অনুরোধে আমরা এ সার্ভিস চালু করেছি। প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটা ও সোয়া নয়টায় দুটি বাস বহদ্দারহাট থেকে ছাড়ছি। এখন যাত্রীরা যদি ১২ টাকা বেশি দিতে না চান তবে আমরা সেই সার্ভিস বন্ধ করে দেব।
তিনি জানান, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পতেঙ্গা সৈকত পর্যন্ত ৪২টি বাস চলছে মেট্রো প্রভাতী সার্ভিসের। ৪০ আসনের প্রতিটি বাস। কালুরঘাট-চকবাজার-আন্দরকিল্লা হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত আরেকটি রুটে ৪০টি মেট্রো প্রভাতী সার্ভিসের বাস নামানোর প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এআর/টিসি