মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম হোসেন মো.রেজার আদালতে বাঁশখালীর চন্দ্রপুরের বাসিন্দা মোস্তাকিম উদ্দিন শিপু বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বিচারিক হাকিম মামলা গ্রহণ করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ওই আদালতের পেশকার নজরুল ইসলাম।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের জুন মাসে বাঁশখালীর চন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে কামাল (১২) এবং ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে আব্দুল মাবুদের ছেলে আবু ছৈয়দকে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার বাদি শিপু তাদের প্রতিবেশি।
আসহাব উদ্দিন ইউপি সদস্য থাকার সময় সন্ত্রাসী দিয়ে পাহাড়, গাছ ও মাটি কেটে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে ঝিনুক পোল্ট্রি ফার্ম নামে একটি খামার স্থাপন করেন বলে মামলার আরজিতে বলা হয়েছে।
বাদির আইনজীবী মোকাররম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খামার স্থাপনের জন্য পাহাড়ের মাটি কাটার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখেননি আসহাব উদ্দিন। এতে মাটিচাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৪ (এ) ধারায় আসহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
এক দশক পর মামলা দায়েরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদি আরজিতে বলেছেন, ঘটনার পর এলাকার লোকজন বিচার চাইতে গেলে তাদের গুম করার হুমকি দিয়েছিলেন আসহাব উদ্দিন। ভয়ে গত ১০ বছর মামলা করতে পারেনি তাদের পরিবার।
এর আগে সোমবার (২০ নভেম্বর) পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে মো.আসহাব উদ্দিন ও তার ছেলে জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
গত ৩১ অক্টোবর বাঁশখালীর চন্দ্রপুরের বাসিন্দা আবুল কাশেম তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগে মো.আসহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সরাসরি সমন জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি