কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২২ জন। তবে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়। প্রথমদিন ২০ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়।
অনুযায়ী, প্রথমে রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এতে থাকছে নাম, বাবা-মার নাম, দেশ, ধর্ম, লিঙ্গসংক্রান্ত তথ্য। এরপর তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে আঙুলের ছাপ। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজ করছে।
সোমবার দিনভর ১৩ হাজার ১২ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
এর মধ্যে কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৯৫৪ জন পুরুষ, ৯৭০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯২৪ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৯৯০ জন পুরুষ, ১ হাজার ২৯১ জন নারী মিলে ২ হাজার ২৮১ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪৬৩ জন পুরুষ, ৫৯ জন নারী মিলে ৯ শত ৭২ জন, থাইংখালী -১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৯৫ জন পুরুষ, ১ হাজার ৫৮০ জন নারী মিলে ২ হাজার ৬৭৫ জন, থাইংখালী -২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ জন পুরুষ, ১ হাজার ২৪৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ২৪৬ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ২৪২ জন পুরুষ, ১ হাজার ১৭ জন নারী মিলে ২ হাজার ৩৪৯ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ২ শত ৭১ জন পুরুষ, ২৯৪ জন নারী মিলে ৫৬৫ জন রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করেন।
এদিকে সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে সোমবার পর্যন্ত তারা ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
টিএইচ/টিসি