ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরে লস্কর নিয়োগ বাতিলের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
বন্দরে লস্কর নিয়োগ বাতিলের দাবি বন্দরে লস্কর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বন্দর ভবনের সামনে মানববন্ধন। ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: অনিয়ম, আঞ্চলিকতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদের নিয়োগ ১ সপ্তাহর মধ্যে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে বন্দর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

আমরা চট্টগ্রামবাসীর ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনছুর। সমাবেশে লস্কর নিয়োগ বাতিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে ৮৫ জন লস্কর নিয়োগের ফল প্রকাশিত হয়।

এরপর থেকে বিশেষ একটি জেলার লোকদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ নিয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সেখানে মন্ত্রী জানান, মেধার ভিত্তিতেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান ভুক্তভোগীরা। সোমবার এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান মনছুর বলেন, এ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশের লোকজনকে সুযোগ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

বন্দরে লস্কর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে  বন্দর ভবনের সামনে সমাবেশ।  ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজ

তিনি বলেন,‘ বাংলাদেশ ৬৪ জেলা নিয়ে গঠিত। কেবল মাদারীপুর নিয়ে নয়। কাজেই সব জেলার লোকজনকে এখানে চাকরির সুযোগ দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি সুযোগ চট্টগ্রামের লোকজন পাবে এটিই নিয়ম। কিন্তু এবার সবাইকে বঞ্চিত করে কেবল নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের জেলা মাদারীপুরের লোকজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ’

নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে লস্কর নিয়োগ বাতিল করে সরকারি নিয়োগ বিধি মেনে পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে। চট্টগ্রামের বেকার যুবকদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বন্দরের সব পরীক্ষা চট্টগ্রামে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরের লোক নিয়োগে বন্দরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হোক।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জহুর আহমদ, নগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এটলী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাসান, আবদুল মান্নান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।