নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-বন্দর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে সাম্প্রতিক যে তথ্য আছে সেটা হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এখন পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করছেন। পণ্য পরিবহন তাদের মূল উদ্দেশ্য নয়।
নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন চাক্তাই মেরিনার্স রোডের মুখে রোববার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাতে একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়।
অভিযানে থাকা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-পশ্চিম) এ এ এম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, কাভার্ড ভ্যানটি টেকনাফ থেকে ১৩০ কার্টন মাছ নিয়ে আসছিল। মূলত কাভার্ড ভ্যানের মালিকই এই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন বাবুর মাধ্যমে সে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কাভার্ড ভ্যানের মালিকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তারা শুধুমাত্র ইয়াবার বাহক বলেও জানিয়েছেন এডিসি হুমায়ুন।
অভিযানে থাকা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচারকারী চক্র তাদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। ২-১টি ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যান কিনে তারা নিজেদের পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। সেই পরিবহনে তারা সাধারণত পচনশীল দ্রব্য যেমন মাছ পরিবহন করছে। মূলত পণ্য পরিবহনের মতো করে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
অভিযানে থাকা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানগুলো তৈরির সময়ই লোহার বডির সঙ্গে ৩ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি কুঠুরি তৈরি করা হয়। কুঠুরির একটি দরজা থাকে, সেটা আবার লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। খালি চোখে দেখলে সেটা বোঝা যাবে না। অথচ এই গোপন চেম্বার দিয়েই পাচার হয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ ইয়াবা।
মাছ বোঝাই কাভার্ডভ্যানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি