ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্ষার আগেই পোর্ট কানেকটিং রোড উঁচু করা হবে: মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
বর্ষার আগেই পোর্ট কানেকটিং রোড উঁচু করা হবে: মেয়র বর্ষার আগেই পোর্ট কানেকটিং রোড উঁচু করা হবে: মেয়র

চট্টগ্রাম: আগামী বর্ষার আগেই পোর্ট কানেকটিং রোড উঁচু করার কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে নিমতলা বিমান চত্বরে পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মেয়র।

তিনি বলেন, জাইকা ও সরকারের অর্থায়নে ১৩৬ কোটি টাকায় পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ হচ্ছে।

নিমতলা থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত আট লেনের ৬ কিলোমিটার বিটুমিনাস সড়কটি ১২০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। উভয় পাশে ২ দশমিক ৫ মিটারের আরসিসি ড্রেন নির্মিত হবে ১২ কিলোমিটার।

মেয়র বলেন, এ সড়কটি খুবই ব্যস্ত। হাজার হাজার পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাই ৩ মিটার চওড়া ফুটপাত তৈরি হবে ১২ কিলোমিটার। সড়কের মাঝখানে আড়াই মিটার চওড়া দৃষ্টিনন্দন বাগানসহ মিডিয়ান করা হবে। এলইডি লাইট থাকবে ৬০০টি।

এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। জনগণের কষ্টের জন্য মেয়র হিসেবে আমি দুঃখিত।  

এবার আমরা ভারী যান চলাচল ও জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ যে স্তরে পানি উঠেছে তা বিবেচনায় নিয়েছি। ঠিকাদারকে অনুরোধ করব যাতে বর্ষার আগেই সড়কটি উঁচু করার কাজটি শেষ করেন।

বন্দরে নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, হাজারো প্রার্থী ছিল। নেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৫ জন। অসন্তোষ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে বিশেষ একটি জেলার বেশি লোক নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে যেভাবে এসেছে বাস্তবে তা ঠিক নয়। আমি নৌমন্ত্রী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, পোষ্য কোটায় ১৭ জন ইত্যাদি মানা হয়েছে। ২৬ জেলা থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ জেলার লোকেরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে।

এ সময় প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, এসএম এরশাদুল্লাহ, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, এইচএম সোহেল, হাবিবুল হক, মো. শফিউল আলম, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, জেসমিনা খানম, ফেরদৌসী আকবর, আফরোজা কালাম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোছাইন, আবু ছালেহ, প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, বিপ্লব দাশ, আবু সাদাত মো. তৈয়বসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

৫১ কোটি টাকায় এক্সেস রোডের উন্নয়ন করছে চসিক

বাংলাদেশ সময়মত: ১১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।