মারামারির জের ধরে এক গ্রুপ চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কের ফতেয়াবাদ এলাকায় ব্যারিকেড দিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পরে পুলিশ গিয়ে ব্যারিকেড তুলে নেয়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে পৌনে নয়টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে হাটহাজারীর আমানবাজার থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের (দক্ষিণ পাহাড়তলী) সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে নোমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে একা পেয়ে মারধর করেন বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর অনুসারী কয়েকজন নেতাকর্মী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জাফর আলমের অনুসারীরা একত্রিত হয়ে তৌফিক আহমদ চৌধুরীর অনুসারী মহিউদ্দিন নামের আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার জের ধরে তৌফিক আহমদ চৌধুরীর অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাফর আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো ঘোষিত ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছিল ছাত্রলীগের একাংশ। শান্তিপূর্ণ সেই সমাবেশে আমি প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে শহরে চলে আসি। পরে শুনি সেখানে ঝামেলা হয়েছে।
বর্তমান কাউন্সিলরকে দায়ী করে জাফর আলম চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল তা ঠিক। আমরা মুরব্বিরা বসে তার সমাধান করতাম। কিন্তু এটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর তো দরকার ছিল না।
তবে এ বিষয়ে জানতে বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে এ নিয়ে একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে নিয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি