ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অস্ত্রোপচারের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করলেন মহিউদ্দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
অস্ত্রোপচারের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করলেন মহিউদ্দিন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী

চট্টগ্রাম: বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ: উন্নতি হচ্ছে।  সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মহিউদ্দিন স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছেন।  শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি অস্ত্রোপচারের সম্মতিপত্রে নিজে স্বাক্ষর করেছেন।

চিকিৎসকরা মহিউদ্দিনের অবস্থা এখন ঝুঁকিমুক্ত বলছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মহিউদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সবকিছু ভালো আছে।

  আমার আব্বা কথাবার্তা বলছেন।   আজ (শনিবার) সকালে তো তিনি নিজেই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
  ঝুঁকির কিছু নেই, এটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।

‘এখন শুধু অপারেশনের জন্য অপেক্ষা করছি।   যেহেতু উনার (মহিউদ্দিন) একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং ডায়ালাইসিস চলছিল, এনজিওগ্রামের পর হাতের মধ্যে ছোট একটা অস্ত্রোপচার হবে।   ভবিষ্যতের নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্যই এটা করা হবে। ’

তবে মহিউদ্দিনের এখনো কাশি আছে বলে জানিয়েছেন নওফেল।

গুরুতর অসুস্থ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনকে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে অ্যাপোেলো গ্লিনিগ্যালস হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন মহিউদ্দিন।

দুই ছেলে নওফেল ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন এবং জামাতা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরী মহিউদ্দিনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে আছেন।

স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন রোববার (১৯ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরে যাবেন বলে জানিয়েছেন মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণি।

নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর মহিউদ্দিনকে গত শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  পরদিন দুপুরে মহিউদ্দিনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহিউদ্দিন মৃদু হার্ট অ্যাটাকের পাশাপাশি কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন।

টানা তিনবার নির্বাচিত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১০ সালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজিত হন।   এরপরও চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বড় অংশের নিয়ন্ত্রক মহিউদ্দিনকেই ভাবা হয়।   চট্টগ্রামের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে আন্দোলনে এখনো মহিউদ্দিনই নিয়ামক, এমনটাই মনে করেন বন্দরনগরীর মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।