ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চট্টলরত্ন’ অভিধা সিডিএ চেয়ারম্যান ছালামের

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
‘চট্টলরত্ন’ অভিধা সিডিএ চেয়ারম্যান ছালামের সিডিএ চেয়ারম্যানের হাতে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন আয়োজকরা

চট্টগ্রাম: ‘চট্টলরত্ন’ অভিধায় ভূষিত হলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।চট্টগ্রামের উন্নয়নে অসামান্য সফলতা অর্জনের জন্য আয়োজিত গণসংবর্ধনায় এ অভিধা দেওয়া হয় তাকে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোহরা মহল্লা কমিটির মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোহরা ওয়ার্ডে জন্মগ্রহণকারী আবদুচ ছালাম আজ সারা চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের গর্ব। সততা, যোগ্যতা, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা দিয়ে তিনি মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সফলতায় তিনি আজ সারা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে মোহরাবাসীকে গৌরবান্বিত করেছেন, চট্টগ্রামকে করেছেন আলোকিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুচ ছালাম বলেন, হালদা ও কর্ণফুলী পাড়ের নিভৃত পল্লি মোহরায় জন্ম আমার। দুই নদীর অবিরাম ছুটে চলা দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। ছোট বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা নদীর ছুটে চলা থামাতে পারে না বরং তরঙ্গায়িত জলরাশি তার মাধুর্যকে ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলে। তেমনি যেকোনো পরিস্থিতিতে এগিয়ে চলেছি আমি, কখনো থামিনি। এতে আমার প্রেরণা আমার মা, আমার জন্মভূমি মোহরার পরিবেশ।

তিনি বলেন, অনেকে উন্নত জীবনযাপনের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে বসবাস করেন। আমি কখনোই এ গ্রামকে ছাড়তে পারিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আজ আমার ওপর ন্যাস্ত। উন্নয়নের কাণ্ডারী হিসেবে দিন রাত কাজ করছি আমি। সিডিএর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি।

তিনি বলেন, ৮ বছরে আমার তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হতে চলেছে। সুরক্ষিত, সুশৃঙ্খল, আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন বিশ্বমানের চট্টগ্রাম না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার চোখের ঘুমকে হারাম করে দিয়েছি। আমি কোনো অবস্থাতেই ক্ষান্ত  হবো না।

মোহাম্মদ ইউনুছ কোম্পানির সভাপতিত্বে ও মো. জমির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর, মো. এমএ মালেক খান, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল মাবুদ, মো. মুছা খান, শিল্পপতি সামশুল আলম, সমাজ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হোসেন বাহাদুর, মো. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মো. রিদুয়ান মিয়া, মো. আনোয়ারুল আমিন, মো. নাছির উদ্দিন, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, জসীম উদ্দিন, আবুল মনছুর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।