প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কত রঙের প্রলেপ পড়েছে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব জায়গা তাই এখন বদলে যাওয়ার গল্প বলে।
কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে বের হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতি এখনো আটকে আছে সেখানে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫১ বছরে পর্দাপণ করছে।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো মুহূর্তগুলো এখনো মনে পড়ে। সেই ক্লাস, শাটল ট্রেন, ঝুপড়ির আড্ডার স্মৃতিগুলো এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা। ভালো থাকুক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদিন বের হয়ে সাবেক হতে হবে সেটা আবেগে মানতে পারছেন না অনেক শিক্ষার্থী।
দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম তান্নি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আব্বু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছোটবেলা থেকে আব্বুর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প শুনতাম। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমে পড়া। সরকারি কমার্স কলেজ থেকে পাস করার পর তাই ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়েই। ’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ৫১তম বছরে পা দেবে। আরেকটি বছর আমাদের জীবন থেকে চলে গেল। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। কত স্মৃতি এখানে, একদিন সাবেক হতে হবে! মানতে পারছি না। ’
চবির ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শনিবারে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে নয়টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর শোভাযাত্রা বের হবে। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হবে। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খোলা রাখা হয়েছে। মূল অনুষ্ঠান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় কেক কাটার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৭
জেইউ/টিসি