শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ‘অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল’র চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্বে থাকা ডা. রবিউল বলেন, আমরা বলি আমাদের চিকিৎসা অনেক ব্যাপক হয়েছে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, মায়ের গর্ভে ৩৪ সপ্তাহের কম থাকা এবং দুই কেজির কম ওজনের নবজাতকের চোখের সমস্যা হতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রিম্যাচিউরড বেবিকে চোখ পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এক মাসের মধ্যে এ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের অবহেলায় অন্ধ হয়ে যেতে পারে তারা।
ডা. রবিউল হোসেন বলেন, বাচ্চাদের চোখের ক্যানসার হয়। জন্ম থেকেও হতে পারে। আবার দু-তিন বছর পরও ধরা পড়ে। অনেকেই জানে না, ডাক্তাররাও জানে না চোখের নিচে বাচ্চার ক্যানসার হয়েছে। আস্তে আস্তে যখন ক্যানসার বড় হয়ে যায়, চোখের বাইরে চলে যায়, ব্রেনের মধ্যে চলে যায়, শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তখন ডাক্তারের কাছে আসে। যেহেতু দেরিতে ধরা পড়ে তাই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সে জন্য বাংলাদেশে কোনো হাসপাতাল এটি আরম্ভ করেনি। আমরা শুরু করেছি। অরবিস এগিয়ে আসছে বাচ্চাদের চোখের ক্যানসার ট্রিটমেন্টে। ডাক্তারদের ট্রেনিং দিয়ে এনেছি। ট্রায়ালে বিভাগটি চালু করেছি।
তিনি ‘ভিশন সেন্টার’ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ভিশন সেন্টার চালু করেছি। আগামী মাসে ফেনীতে চালু করব। আগামী বছর খাগড়াছড়িতে করব। আমরা প্রমাণ করেছি পাঁচ বছরে এসব সেন্টার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, আজীবন চলবে। আমরা এর সঙ্গে অরবিসকে সম্পৃক্ত করতে চাই। আশার কথা, সরকারিভাবে ন্যাশনাল আই কেয়ার সেন্টার পাঁচ বছরে ২০০ সেন্টার করবে। এটি দেশে অন্ধত্ব নিবারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
অরবিসের 'উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল' এখন চট্টগ্রামে
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এআর/টিসি