ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিম্যাচিউরড বেবির চোখ পরীক্ষার তাগিদ ডা. রবিউলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
প্রিম্যাচিউরড বেবির চোখ পরীক্ষার তাগিদ ডা. রবিউলের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডা. রবিউল হোসেন। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: আধুনিক চিকিৎসার কল্যাণে কম ওজনের প্রিম্যাচিউরড বেবি টিকে গেলেও তাদের চোখের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন খ্যাতিমান চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ‘অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল’র চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্বে থাকা ডা. রবিউল বলেন, আমরা বলি আমাদের চিকিৎসা অনেক ব্যাপক হয়েছে।

আগে গ্রামে কোনো হেলথ কেয়ার সেন্টার ছিল না। কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক ছিল না।
কোনো হাসপাতাল ছিল না। আজ কিন্তু হয়েছে। প্রিম্যাচিউরড বাচ্চাকে প্রথমে সেখানে নিয়ে যেতে হয়। এ বাচ্চাগুলোর অক্সিজেন দিতে হয়। বয়স্কদের মতো নয়। পরিমাণ মতো। তাদের যদি বেশি করে অক্সিজেন দেওয়া হয় চোখের ওপর প্রভাব পড়ে। ডাক্তাররাও অনেক সময় এটি জানেন না। একটি নতুন রোগের সৃষ্টি হয়। বাচ্চা অন্ধ হয়ে যায়। আমরা অরবিসের সহযোগিতায় প্রিম্যাচিউরড বেবির চোখ পরীক্ষা করতে চাই।  

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, মায়ের গর্ভে ৩৪ সপ্তাহের কম থাকা এবং দুই কেজির কম ওজনের নবজাতকের চোখের সমস্যা হতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রিম্যাচিউরড বেবিকে চোখ পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এক মাসের মধ্যে এ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের অবহেলায় অন্ধ হয়ে যেতে পারে তারা।

ডা. রবিউল হোসেন বলেন, বাচ্চাদের চোখের ক্যানসার হয়। জন্ম থেকেও হতে পারে। আবার দু-তিন বছর পরও ধরা পড়ে। অনেকেই জানে না, ডাক্তাররাও জানে না চোখের নিচে বাচ্চার ক্যানসার হয়েছে। আস্তে আস্তে যখন ক্যানসার বড় হয়ে যায়, চোখের বাইরে চলে যায়, ব্রেনের মধ্যে চলে যায়, শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তখন ডাক্তারের কাছে আসে। যেহেতু দেরিতে ধরা পড়ে তাই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সে জন্য বাংলাদেশে কোনো হাসপাতাল এটি আরম্ভ করেনি। আমরা শুরু করেছি। অরবিস এগিয়ে আসছে বাচ্চাদের চোখের ক্যানসার ট্রিটমেন্টে। ডাক্তারদের ট্রেনিং দিয়ে এনেছি। ট্রায়ালে বিভাগটি চালু করেছি।

তিনি ‘ভিশন সেন্টার’ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ভিশন সেন্টার চালু করেছি। আগামী মাসে ফেনীতে চালু করব। আগামী বছর খাগড়াছড়িতে করব। আমরা প্রমাণ করেছি পাঁচ বছরে এসব সেন্টার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, আজীবন চলবে। আমরা এর সঙ্গে অরবিসকে সম্পৃক্ত করতে চাই। আশার কথা, সরকারিভাবে ন্যাশনাল আই কেয়ার সেন্টার পাঁচ বছরে ২০০ সেন্টার করবে। এটি দেশে অন্ধত্ব নিবারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।    

অরবিসের 'উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল' এখন চট্টগ্রামে

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।