যথারীতি ছাত্রের চেয়ে এবারও ১১ হাজার ৫৮৫ জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ হাজার ৪৮৩ জন ছাত্র এবং ৮২ হাজার ৬৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে।
১৯ নভেম্বর ইংরেজি বিষয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একযোগে পিএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর নগরীর ৬টি সহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় ৩৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিবে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন পরীক্ষার্থী।
দেশের শিক্ষার হারকে ক্রমশ তরান্বিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় এবার ৩ হাজার ৭৯৪টি স্কুলের ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে। যথারীতি এবারও পিএসসিতে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ২০ শিক্ষা থানার ৩৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষার্থী কমার বিষয়ে জানতে চাইলে নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্ডারগার্ডেন ও কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এলাকাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দুই স্কুলের অধীনে অন্তর্ভূক্ত ছিল। যাচাইবাছাইয়ে এবার কিছু এনজিও পরিচালিত স্কুল বাদ পড়েছে। তাছাড়া এখন ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা সংখ্যা তেমন দেখা যায় না। কেননা, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকার বিনামূল্যে বই, বছরব্যাপী শিক্ষাভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এলাকাভিত্তিক দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেনি, এবার মূলত ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কম ছিল। তা্ই হয়তো তুলনামূলকভাবে গতবছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু কমেছে। ’
২০১৩ সালের পর থেকে নতুনভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসবি/টিসি