ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পিইসিতে কমেছে প্রতিষ্ঠান-পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
পিইসিতে কমেছে প্রতিষ্ঠান-পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পিএসসিতে কমেছে প্রতিষ্ঠান-পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

চট্টগ্রাম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও। গতবছর নগরীসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ৪ হাজার ৩২টি স্কুলের ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও এবছর অংশ নিচ্ছে ৩ হাজার ৭৯৪টি স্কুলের ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন।

যথারীতি ছাত্রের চেয়ে এবারও ১১ হাজার ৫৮৫ জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ হাজার ৪৮৩ জন ছাত্র এবং ৮২ হাজার ৬৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে।

 

১৯ নভেম্বর ইংরেজি বিষয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একযোগে পিএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর নগরীর ৬টি সহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় ৩৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিবে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন পরীক্ষার্থী।

এরমধ্যে পাহাড়তলী শিক্ষা থানার ১২৭টি স্কুলের ৮টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৮৫৮, ডবলমুরিংয়ে ২০২টি স্কুলের ৯টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪, বন্দরে ১২৯টি স্কুলের ৬টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৪৭৪, পাঁচলাইশের ১৯০টি স্কুলের ১০টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৮৮, চান্দগাঁওয়ের ১৬৪টি স্কুলের ৯টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৭৩১, কোতোয়ালীর ১১২টি স্কুলের ৭টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৫২, বাঁশখালীর ২০৫টি স্কুলের ৩০টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৬২৭, রাউজানের ২৩৩টি ২৫টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৪৭০, সন্দ্বীপের ১৮৪টি স্কুলের ১৮টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯১, ফটিকছড়ির ৩২০টি স্কুলের ৩৭টি কেন্দ্রের ১০ হাজার ৭৩৫, পটিয়ার ৩০৬টি স্কুলের ২৯টি কেন্দ্রের ১০ হাজার ৯৬৯, আনোয়ারার ১৬৩টি স্কুলের ১৪টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৪২, বোয়ালখালীর ১৪৭টি স্কুলের ১৪টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৬৩৫, লোহাগাড়ার ১৪৩টি স্কুলের ১০টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৯৮৪, চন্দনাইশের ১২৪টি স্কুলের ১৬টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ২৬৯, হাটহাজারীর ২৩৯টি স্কুলের ২০টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৫৪, রাঙ্গুনীয়ার ২১৭টি স্কুলের ১৮টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ২৪, মিরসরাইয়ের ২৩২টি স্কুলের ১৮টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৪১৯ ও সীতাকুণ্ড থানার ১৭১টি স্কুলের ১২টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিবে।

দেশের শিক্ষার হারকে ক্রমশ তরান্বিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় এবার ৩ হাজার ৭৯৪টি স্কুলের ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে। যথারীতি এবারও পিএসসিতে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ২০ শিক্ষা থানার ৩৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষার্থী কমার বিষয়ে জানতে চাইলে নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্ডারগার্ডেন ও কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এলাকাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দুই স্কুলের অধীনে অন্তর্ভূক্ত ছিল। যাচাইবাছাইয়ে এবার কিছু এনজিও পরিচালিত স্কুল বাদ পড়েছে। তাছাড়া এখন ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা সংখ্যা তেমন দেখা যায় না। কেননা, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকার বিনামূল্যে বই, বছরব্যাপী শিক্ষাভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এলাকাভিত্তিক দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেনি, এবার মূলত ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কম ছিল। তা্ই হয়তো তুলনামূলকভাবে গতবছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু কমেছে। ’

২০১৩ সালের পর থেকে নতুনভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।