বন্ড সুবিধায় পণ্য চালানটি আমদানি করেছে নগরীর চট্টেশ্বরী এলাকার অ্যাপারেল অপশন (প্রাইভেট) লিমিটেড। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান প্যারামেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চালানটি খালাস নিতে আমদানিকারকের পক্ষে গত ৮ নভেম্বর বিল অব এন্ট্রি (সি-১৩৯৭৪৫৬) দাখিল করে।
ভুয়া কাগপপত্রে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চালানটি খালাস নেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটির খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। পরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) কায়িক পরীক্ষা করে শুল্ক গোয়েন্দা।
এতে ওই চালানে ৩৬ টন উন্নত মানের পলিস্টার কাপড় পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চালানটি কমার্শিয়াল। এছাড়া ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, প্রত্যয়নপত্র (নং-ইউসিবি/জেবিআর/এনওসি/২০১৭/৩২৬) সেলস কন্ট্রাক্ট সবাই জাল।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তারেক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, জালজালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর নকল করে ও ভুয়া দলিলাদি তৈরির মাধ্যমে চালানটি আমদানি করা হয়েছে। যা কাস্টমস আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
সেলস কন্ট্রাক্ট ভুয়া হওয়ায় চালানটিতে শুল্ক ফাঁকির ঝুঁকি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পণ্য চালানটি খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তারেক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমইউ/টিসি