চট্টগ্রামের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের বাহারি খানাপিনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে উদ্বোধনী দিনেই। হাজারো তরুণ-তরুণী ৫০ টাকায় টিকেট কেটে মেতে উঠেছেন এ উৎসবে।
খাদক, পেটুক, খানাঘাট, হাংগার গেমস, হাংগার কিলার, পাতিল, চিতই, গোল্ডেন ফিশ, বারকোড, সাদিয়া’স কিচেন, সেভেন ডে’স, সাব জিরো, লেক ডাইনসহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল থেকে স্টলে ঘুরে পছন্দের খাবারটি কিনে সবান্ধবে খেয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে খাদ্য উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াসমিন, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী, বাওয়া’র সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সুলতানা পারু, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের বিজনেস রিলেশন প্রধান সরদার নওশাদ ইমতিয়াজ, ফুড মনস্টারস’র অ্যাডমিন বৃষ্টি ইসলাম। অংশ নেন গ্রুপের চার লাখতম সদস্য আরিবান আহমেদও।
‘আবদুল হাই করে খাই খাই/ এক্ষুণি খেয়ে বলে কিছু নাই’ ছড়াটি শুনিয়ে জিন্নাহ চৌধুরী বলেন, একসময় মাছে-ভাতে বাঙালি ছিলাম আমরা। ঘরে ঘরে সকালে পান্তাভাত খাওয়া হতো। এখন আমাদের জীবনযাত্রায়, খাদ্যাভাসে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ সব খাবার ঘরে বাইরে হাতছানি দিচ্ছে। ভোজনরসিকদের ফুড মুনস্টারসের এ উৎসব নতুন পদের খাবারের সঙ্গে পরিচিত করবে।
সঞ্চালনায় ছিলেন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা হুইজ কমিউনিকেশনের পরিচালক (প্রশাসন) কাজী আরফাত। উদ্বোধনী দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মূকাভিনয় ও জাদুশিল্পী রাজীব বসাকের অনবদ্য প্রদর্শনী।
বৃষ্টি ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব শুরু হবে। বিকেলে দৃষ্টি চট্টগ্রাম পরিবেশন করবে রম্য বিতর্ক। থাকবে ব্যান্ডদল বে অব বেঙ্গলের সংগীত মূর্ছনা ও চিটাগাং বুলেটের কৌতুক। সমাপনী দিন শনিবার সকাল ১০টায় উৎসব শুরু হবে। বেলা দুইটা থেকে মঞ্চে পরিবেশিত হবে আবৃত্তি, স্ট্যান্ডআপ কমেডি। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এআর/টিসি