ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোজনরসিকদের মেলায় তরুণদের উপচেপড়া ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ভোজনরসিকদের মেলায় তরুণদের উপচেপড়া ভিড় বাওয়া স্কুল মাঠের খাদ্য উৎসব। ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ফুড মনস্টারস। ফেসবুকের ফুড লাভারস গ্রুপ। চারজন দিয়ে শুরু। তিন বছরে সদস্যসংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ। বড় পরিবারটির ছোট্ট আয়োজন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল মাঠের ‘ফুড ফেস্টিভ্যাল’।

চট্টগ্রামের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের বাহারি খানাপিনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে উদ্বোধনী দিনেই। হাজারো তরুণ-তরুণী ৫০ টাকায় টিকেট কেটে মেতে উঠেছেন এ উৎসবে।

চকলেট, জুস, আইসক্রিম, ফুচকা, গরমা গরম শর্মা, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে মজাদার পিঠাপুলির স্বাদ নিয়েছেন তারা। ছিল সেলফি জোনে ছবি তোলার ধুম।

খাদক, পেটুক, খানাঘাট, হাংগার গেমস, হাংগার কিলার, পাতিল, চিতই, গোল্ডেন ফিশ, বারকোড, সাদিয়া’স কিচেন, সেভেন ডে’স, সাব জিরো, লেক ডাইনসহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল থেকে স্টলে ঘুরে পছন্দের খাবারটি কিনে সবান্ধবে খেয়েছেন তারা।

কেক কেটে তিন দিনের খাদ্য উৎসব উদ্বোধন করেন অতিথিরা।  ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে খাদ্য উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াসমিন, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী, বাওয়া’র সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সুলতানা পারু, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের বিজনেস রিলেশন প্রধান সরদার নওশাদ ইমতিয়াজ, ফুড মনস্টারস’র অ্যাডমিন বৃষ্টি ইসলাম। অংশ নেন গ্রুপের চার লাখতম সদস্য আরিবান আহমেদও।

‘আবদুল হাই করে খাই খাই/ এক্ষুণি খেয়ে বলে কিছু নাই’ ছড়াটি শুনিয়ে জিন্নাহ চৌধুরী বলেন, একসময় মাছে-ভাতে বাঙালি ছিলাম আমরা। ঘরে ঘরে সকালে পান্তাভাত খাওয়া হতো। এখন আমাদের জীবনযাত্রায়, খাদ্যাভাসে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ সব খাবার ঘরে বাইরে হাতছানি দিচ্ছে। ভোজনরসিকদের ফুড মুনস্টারসের এ উৎসব নতুন পদের খাবারের সঙ্গে পরিচিত করবে।

সঞ্চালনায় ছিলেন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা হুইজ কমিউনিকেশনের পরিচালক (প্রশাসন) কাজী আরফাত। উদ্বোধনী দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মূকাভিনয় ও জাদুশিল্পী রাজীব বসাকের অনবদ্য প্রদর্শনী।

বৃষ্টি ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব শুরু হবে। বিকেলে দৃষ্টি চট্টগ্রাম পরিবেশন করবে রম্য বিতর্ক। থাকবে ব্যান্ডদল বে অব বেঙ্গলের সংগীত মূর্ছনা ও চিটাগাং বুলেটের কৌতুক। সমাপনী দিন শনিবার সকাল ১০টায় উৎসব শুরু হবে। বেলা দুইটা থেকে মঞ্চে পরিবেশিত হবে আবৃত্তি, স্ট্যান্ডআপ কমেডি। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।      

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad