ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিপিএল

ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত চলাচলে পুলিশের ‘না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত চলাচলে পুলিশের ‘না’ বিপিএলের চট্টগ্রাম আসরে নিরাপত্তাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন পুলিশ কমিশনার

চট্টগ্রাম: বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হচ্ছে ২৪ নভেম্বর থেকে। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে সাতটি দলই চলে আসবে ২৩ নভেম্বর। ২৩ থেকে ২৯ নভেম্বর-এই সাতদিনে খেলায় অংশ নিতে চট্টগ্রাম অবস্থান করা সাতটি দলের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যক্তিগত চলাচলে অনুৎসাহিত করবে পুলিশ।

বিপিএলের চট্টগ্রাম আসরকে ঘিরে নিরাপত্তা-নির্দেশনাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহারের সভাপতিত্বে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে তার কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিপিএল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার।

তিনি জানান, সবগুলো খেলাই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

তবে এম আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বিভিন্ন দল।

ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত চলাচলে না: তিনি বলেন, ’২৩ নভেম্বরই সাতটি দল চট্টগ্রামে চলে আসবে। এর মধ্যে পাঁচটি দল রেডিসন হোটেলে এবং বাকি দুটি দলের একটি প্যানিনসুলা এবং আরেকটি আগ্রাবাদ হোটেলে অবস্থান করবে। আমরা প্রতিটি টিমকে নিরাপত্তার স্বার্থে বলে দেব ক্রিকেটাররা যাতে ব্যক্তিগতভাবে কোথাও বের না হন। একান্তে প্রয়োজন হলে প্রতিটি হোটেলেই আমাদের পুলিশের টিম থাকবে। তাদের সঙ্গে নিয়ে বের হন। ’

মোবাইল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ নয়: মাঠে দর্শকরা শুধুমাত্র মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া পানির বোতলসহ অন্য কোনো খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। জাতীয় পতাকা আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করা যাবে, তবে লাঠিবিহীন হতে হবে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, মাঠে পানিসহ অন্যান্য খাদ্য পাওয়া যাবে। সেখান থেকে কিনে খেতে হবে। বাইরে থেকে কোনো কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।

বিপিএলে নিরাপত্তায় ১৫০০ পুলিশ: বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে নিরাপত্তায় কাজ করবে ১৫০০ পুলিশ সদস্য। অবশ্য খেলা চলাকালীন ১১০০’র উপর পুলিশ কাজ করবেন। তবে সবমিলিয়ে ১৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

শেখ মুজিব সড়ক কম সময় অবরুদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত: খেলোয়াড়দের মাঠে আনা নেওয়ার কাজ দ্রুত সারতে চায় পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেন, নগরীর প্রধান সড়ক হচ্ছে শেখ মুজিব সড়ক। অন্য সড়কগুলো এটাকে ঘিরেই তৈরি। এটা বেশিক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখা মানে যানজট বাড়ানো। তাই আমরা চাইবো খেলোয়াড়দের কম সময়ে আনা নেওয়ার কাজটা সারতে। বিপিএলের চট্টগ্রাম আসরে নিরাপত্তাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন পুলিশ কমিশনার

টিকিট বিক্রি সহজলভ্যা: টিকিট নিয়ে যাতে দর্শকদের ভোগান্তিতে না পড়তে হয় সেজন্য এবার খেলা শুরুর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে থেকেই টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) বুথে টিকিট পাওয়া যাবে। বিটাক মোড় ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে দর্শকরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।

স্টেডিয়াম পাড়ার কর্মজীবীদের জন্য আলাদা স্টিকার: খেলা চলাকালীন নিরাপত্তা নিয়ে কড়কাড়ি থাকায় সাগরিকা এলাকায় বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা ভোগান্তিতে পড়েন। প্রায় সময় তারা সেদিকে প্রবেশ করতে পারে না। তাই তাদের জন্য এবার আলাদা স্টিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা দেখিয়ে তারা নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে যেতে পারবে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, এবার প্রথমবারের মতো একটা সমস্যার কথা আমরা জেনেছি। এই সমস্যা সমাধানে সাগরিকা এলাকায় যাদের কর্মস্থল তাদের আমাদের পক্ষ থেকে স্টিকার দেব। সেই স্টিকার দেখিয়ে দেখিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারবে। তবে এটা দেখিয়ে কোনভাবেই মাঠে ঢোকার চেষ্টা করতে পারবে না কেউ।

এছাড়া বিপিএলকে কেন্দ্র করে বাজি ও জুয়া প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন দল মাঠ কাজ করবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার।

এসময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সালেহ মোহাম্মদ তানভীরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।