বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রফিককে সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রফিক একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী।
আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে রফিককে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন ওসি।
পুলিশ সূত্রমতে, ২০১৩-২০১৪ সালে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মামলার রায়ের পর ডাকা হরতালে সহিংসতার জনপদ হয়ে উঠত দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া। এসময় তাণ্ডব সৃষ্টির মূল নেতাদের একজন ছিলেন জামায়াতদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর ক্যাডার রফিক।
রফিকের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারেরা মহাসড়কে সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের হাসমতের দোকান এলাকায় অঘোষিত সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। পুলিশ-র্যাব-বিজিবি মোতায়েন করেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেগ পেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে রফিক এক পা হারান। এরপরও তাণ্ডবের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছিল রফিক।
সাতকানিয়ার ওসি জানান, রফিকের নেতৃত্বে ক্যাডারদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমায় একশ’রও বেশি গাড়ি পুড়ে গেছে। ট্রাকচালক ওয়াসিম, যাত্রী শাহাবউদ্দিনকে তারা পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে খুন করে। একজন বিদেশি নাগরিক চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়ে প্রায় অন্ধত্ব বরণ করেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।
হত্যা, পুলিশের উপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাধাদান, যানবাহন ও সরকারি-বেসকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরক দ্রব্য, অস্ত্র আইন, এলাকার ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে রফিকের বিরুদ্ধে ৬১টি মামলা থাকার কথাও জানিয়েছেন ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি