চসিকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ২৩৩৮ জন হোল্ডারের প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরা হয়েছিল ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা। শুনানির পর তা নেমে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৩৬০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) চসিকের রাজস্ব সার্কেল-১ এর ২২৪টি আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল রিভিউ বোর্ড হোল্ডারদের আপত্তি আমলে নিয়ে নির্ধারিত ভ্যালু থেকে গড়ে ৭৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। ১৬ জন গরিব হোল্ডারকে বছরে নামমাত্র ৫১ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করে দিয়েছে। আপিল রিভিউ বোর্ড ২২৪ জন হোল্ডারের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৪ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার ৭ শত টাকা থেকে কমিয়ে ১ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ টাকা চূড়ান্ত ভ্যালু ধার্য করেছে। ফলে ভ্যালু ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬০ টাকা কমেছে।
আপিল রিভিউ বোর্ড দুভাগে শুনানিতে অংশ নেন। মেয়র দপ্তরে শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দপ্তরে রিভিউ বোর্ডের শুনানিতে মেয়রের পক্ষে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর হাবিবুল হক। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, আপিল রিভিউ বোর্ড সদস্য প্রকৌশলী এম আবদুর রশিদ, অ্যাডভোকেট চন্দন বিশ্বাস, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নতুন সাতটি রিভিউ বোর্ড গঠিনের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক। এসব রিভিউ বোর্ডে চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলের মহল্লা সর্দারের প্রতিনিধি থাকবেন। তারা হলেন আলী বক্স সর্দার, আজগর খান সর্দার, আবু বক্কর সিদ্দিক সর্দার, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ সর্দার, জাহেদ হোসেন সর্দার, আবুল কালাম সর্দার, শওকত আলী সর্দার ও নুরুল হক সর্দার। থাকবেন আইনজীবী সমিতি ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রতিনিধিও।
চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত ৬২ হাজার ৪৬৩ জন হোল্ডিং মালিক বিনামূল্যে পি ফরম সংগ্রহ করে আপিল আবেদন করেছেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্টে সন্তুষ্ট না হলে কিংবা আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন হোল্ডিং মালিকরা।
পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর সরকারি-বেসরকারি মিলে চসিকের বর্তমান হোল্ডিং সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এআর/টিসি