ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধ এলাকায় গৃহকর না বাড়ানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
জলাবদ্ধ এলাকায় গৃহকর না বাড়ানোর দাবি    মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাবেক কাউন্সিলররা

চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো চিহ্নিত করে গৃহকর না বাড়ানোর দাবিতে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এক্স কাউন্সিলর ফোরাম।

স্মারকলিপিতে আগের গৃহকরের সঙ্গে ক্ষেত্র বিশেষে ১০-২০ শতাংশ বাড়িয়ে আপিল নিষ্পত্তিকরণ, ১৯৮৬ সালের করবিধি সংশোধন, দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের কর জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ফোরামের নেতারা মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় ও স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

মেয়র সাবেক কাউন্সিলরদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সাবেক জনপ্রতিনিধিরা সমাজের গুরত্বপূর্ণ অংশ। তাদের কাছে সমাজের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।

তাই তাদের চিন্তা চেতনায় জনকল্যাণ নিহিত আছে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মেয়র কোনো নাগরিকের ওপর কর আরোপের ক্ষমতা রাখে না। ১৯৯৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একই রেইটে গৃহকর নির্ধারিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এক টাকাও গৃহকর বাড়ানো হয়নি। তারপরও নানামুখী বিভ্রান্তির বেড়াজালে জনগণকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। যা দুঃখজনক। অপরাজনীতি, অপতৎপরতা, মিথ্যা ও ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি কারও কাম্য হতে পারে না।

সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলমান আপিল রিভিউ বোর্ডে কোনো আপিলকারী অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। সবাই আপিল রিভিউ বোর্ডে তাদের মতামত তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে আপিল নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ যাবত প্রায় ৫৭ হাজার হোল্ডার আপিল আপত্তি দাখিল করেছে।

মেয়র বলেন, ১৯৯৪ সালে চসিকে বছরে প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা। ২০১০-১১ সালে ছিল ৭১ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রশাসনিক ব্যয় প্রায় ১৯২ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে চসিককে ম্যাচিং ফান্ডে ২০-৩০ শতাংশ টাকা জোগান দিতে হচ্ছে।

সাবেক কাউন্সিলর এমএ নাছের, মাহবুবুল আলম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ নজরুল ইসলাম, মো. হোসেন, জয়নাল আবদীন, নিয়াজ মো. খান, এমএ মালেক, মুহাম্মদ জামাল হোসেন, এএসএম জাফর, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. নুরুল হুদা লালু, আলী বক্স, মো. জাফর আলম চৌধুরী ও বিজয় কুমার চৌধুরী কিষান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, সোমবার চসিকের সার্কেল-৮ এর ২৬০টি আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে। অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ভ্যালু কমেছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৯০০ টাকা, গড়ে ৭১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ১৫ জন গরিব হোল্ডারকে বছরে ৫১ টাকা গৃহকর নির্ধারণ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।