সোমবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৫ লাখ ১২ হাজার ৫৮ জন রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করা হয়েছে। ৬৪দিনে এসব রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করা হল।
১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়। প্রথমদিন ২০ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়।
সোমবার সারাদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৯২৪ জনকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হয়। এর মধ্যে কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ১৬ জন পুরুষ, ১ হাজার ১৯৫ জন নারী মিলে ২ হাজার ২১১ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩১৪ জন পুরুষ, ১ হাজার ৪৪২ জন নারী মিলে ২ হাজার ৭৫৬ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪৯৫ জন পুরুষ, ৬৮৪ জন নারী মিলে ১ হাজার ১৭৯ জন, থাইংখালী -১ ক্যাম্পে ৯৪৬ জন পুরুষ, ১ হাজার ১৬৭ জন নারী মিলে ২ হাজার ১১৩ জন, থাইংখালী -২ ক্যাম্পে ৬৮২ জন পুরুষ, ৬৬৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩৪৯ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৪৪২ জন পুরুষ, ১ হাজার ৪৩৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৮৮১ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ৫৪৪ জন পুরুষ, ৮৯১ জন নারী মিলে ১ হাজার ৪৩৫ জন রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করা হয়েছে।
প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রথমে রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এতে থাকছে নাম, বাবা-মার নাম, দেশ, ধর্ম, লিঙ্গসংক্রান্ত তথ্য। এরপর তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে আঙুলের ছাপ। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজ করছে। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি।
এদিকে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি