ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মঙ্গলবার নবান্ন উৎসব, দর্শক মাতাবেন ফকির শাহাবুদ্দিন

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
মঙ্গলবার নবান্ন উৎসব, দর্শক মাতাবেন ফকির শাহাবুদ্দিন

চট্টগ্রাম: বাংলার আবহমান কৃষিজ ও সংস্কৃতিকে শহুরে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বন্দরনগরীতে আয়োজন করা হয়েছে নবান্ন উৎসবের।  মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরীর এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন তিনজন প্রান্তিক কৃষক।

‘আজি নবান্ন উৎসবে নবীন গানে/ আয়রে সবে আয়রে ছুটে প্রাণের টানে’ স্লোগান নিয়ে ‘শিশুমেলা’ নামে সংগঠনটি তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করছে এই উৎসবের। উৎসবে ফোক গানে দর্শকদের মাতাতে আসছেন লোকশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন।   শিশুমেলার সভাপতি অধ্যক্ষ রীতা দত্ত এবং এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য জামশেদুল আলম চৌধুরীও এতে বক্তব্য রাখবেন।

আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম।  বক্তব্য রাখবেন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সদস্যসচিব রত্নাকর দাশ ‍টুনু এবং প্রধান সমন্বয়কারী রুবেল দাশ প্রিন্স।

পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুরঙ্গন নৃত্য একাডেমির দলীয় নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হবে।   এছাড়া একক ও দলীয় নৃত্য-সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশিত হবে।  সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চে উঠবেন শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন।  

নবান্ন উৎসবের জন্য কলেজ মাঠে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।   মাঠজুড়ে পিঠাপুলি, মুড়ি, মুড়কিসহ কৃষিজ পণ্যের স্টল থাকবে।  এছাড়া সাজসজ্জার মাধ্যমে মাঠে গ্রামীণ আবহ তুলে ধরা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রুবেল দাশ প্রিন্স।

প্রতিবছর ডিসি হিলে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়।   কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিসি হিলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভেন্যু পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুবেল দাশ প্রিন্স।

‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রশাসন বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। ডিসি হিলে নবান্ন উৎসব করার অনুমতি না দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল প্রশাসন সংস্কৃতির পথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল।   কিন্তু আমরা এনায়েতবাজার কলেজ মাঠে আরও বড় পরিসরে উৎসবের আয়োজন করছি।   আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, সংস্কৃতির পথ রুদ্ধ করে একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।   তাদের সংস্কৃতিবান্ধব হওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। ’ বলেন রুবেল দাশ প্রিন্স

পরিষদের সদস্যসচিব রত্নাকর দাশ টুনু বাংলানিউজকে বলেন, নাগরিক জীবনের কোলাহলে গ্রামীণ সমাজের অনেক অনুষঙ্গের সঙ্গেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায় না শহরের শিশু-কিশোররা।  আমরা চাই নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে মেলবন্ধনের সূত্র হয়ে উঠুক হোক গ্রামের সঙ্গে শহরের।  চিরায়ত উৎসবের আনন্দে মেতে উঠুক সব বয়স আর শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।