পরে দুই দিন চেষ্টা চালিয়ে অস্থায়ীভাবে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রোববার রাত পৌনে ৯টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দোহাজারী রুটে দুই দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা।
একটি রেল সেতুর দেওয়াল মেরামত করতে দু’দিন ট্রেন বন্ধ থাকার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
তবে তা মানতে নারাজ প্রকৌশল বিভাগ। তারা বলছেন, ট্রেক নতুন হলেও সেতুগুলো অনেক পুরনো। তাই মেরামতের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রাখতে হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো.আরিফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পানির নিচের অংশে ধসে পড়ায় বিষয়টি আগে থেকে জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় রোববার বিকেল থেকে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে বলা হলেও মূলত রাত পৌনে ৯টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গ কথা বলে জানা গেছে, সেতুটির দেওয়াল হঠাৎ করেই ধসে পড়েনি। কর্মরত ওয়েম্যানরা নিয়মিত তদারকি করলে বিষয়টি চোখে পড়তো। এছাড়া দোহাজারী ও লুপ লাইনে আলাদা জনবল থাকার পরও গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে লুপ লাইনে মালবাহি গাড়ির জন্য আনফিট ঘোষণা করা হয়। উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকেশলী (পথ) আওলাদ হোসেন এ নির্দেশনা দেন। ওয়েম্যান কাজ করলে লুপ লাইন আনফিট থাকার কথা নয়। এছাড়া রেলের জিএস রুলস না মেনেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওয়েম্যানদের কাজে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, তারা কাজ না করলে দুর্ঘটনা ঘটতো। পূর্বাঞ্চলে কিন্তু ট্রেক দুর্ঘটনা ঘটেনি।
শুষ্ক মৌসুমে দেওয়াল মেরামত করতে দু’দিন সময় লাগার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রকৌশল বিভাগ ভাল বলতে পারবে। উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন রোববার রাত সাড়ে ৭টায় বাংলানিউজকে বলেন, সেতু মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। কিছুক্ষণ পরই ফিট দিতে পারবো। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমইউ/টিসি