জেলেরা জানান, সময় শেষ হতেই সমুদ্র কুল থেকে তারা গভীর সমুদ্রের পথে রওয়ানা হবেন। প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা নৌকা চালানোর পর তারা পৌঁছে যাবেন ইলিশের আস্তানায়।
নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ২২দিন স্থবির ছিল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বাজার, বরফকলগুলো।
সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন পরে নদীতে নামাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে জেলে পল্লিতে। উচ্ছ্বাসের রঙ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখেও।
এদিকে জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা রাত ১২টার পরেই ইলিশ ধরতে আর বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন। তবে এর আগে ইলিশ ধরতে সমুদ্রে না নামতে তারা নিষেধ করেছেন।
জানতে চাইলে উত্তর চট্টলার উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিটন জলদাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার সমিতির অধীনে পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ডের এক নম্বর সৈয়দপুর গ্রাম পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার জেলে সদস্য অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। সবমিলিয়ে এসব অঞ্চলের ৭৫ হাজার পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া মিরসরাই উপকূলের ১৯টি গ্রামের জেলেরাও একই পেশার সঙ্গে জড়িত। সবমিলিয়ে চার লাখের ওপর জেলে প্রস্তুত রয়েছেন ইলিশ ধরতে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পরেই আমাদের বেশিরভাগ জেলেই মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে নামবো। উপকূল থেকে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা নৌকা চালিয়ে আমরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাবো। এরপর খুঁটি পাতা ঢং জাল ফেলতে ফেলতে আরও কিছু সময় যাবে। আশা করছি সোমবার সকালেই ইলিশ নিয়ে ফিরতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
টিএইচ/টিসি