ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমি মেয়র হলেও দলের সাধারণ সম্পাদক: নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
আমি মেয়র হলেও দলের সাধারণ সম্পাদক: নাছির মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান করেন। কিন্তু শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ও এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে কয়েকটি সভা আহ্বান করা হয়েছে, যা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার সাথে কোনো ধরনের আলাপ বা কথা বলা হয়নি।

যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। আমি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হলেও দলের সাধারণ সম্পাদক।

দল ও সরকারের ভাবমূর্তি বাড়ানো ও জনমত সরকারের অনুকূলে রাখা আমার দায়িত্ব।

রোববার (২২ অক্টোবর) আ জ ম নাছির উদ্দীন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সভাপতির সাথে আলোচনা ও পরামর্শক্রমে নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা ডাকা ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা আমার দায়িত্ব। দলীয় সভাপতির বাসভবনে সম্প্রতি কয়েকটি বৈঠক এবং শুক্রবারের সভার বিষয়ে আমি অবহিত নই। তবে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ওই সভায় পৌরকর নিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রত করা হচ্ছে মর্মে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নহে। বরং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী কমিটির অনেককে অবহিত না করে সভায় যেসব আলোচনা করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিমূলক ও সঠিক নয়। হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি বিভিন্ন সংবাদ ও সভার মাধ্যমে মেয়র হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরেছি। এ বিষয়ে সাবেক মেয়র নিশ্চয়ই অবহিত আছেন। সিটি করপোরেশন রাষ্ট্রের বিধিবদ্ধ আইন দ্বারা পরিচালিত এবং সরকার সিটি করপোরেশনের সামগ্রিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করার আইনি বিধানের  আলোকে বর্তমানের হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। ’

 মেয়র সরকারের অংশ ও প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়রকে আইনি কাঠামোর মধ্যে চলতে হয় এবং তার মধ্যেই উন্নয়ন ও জনসেবা পরিচালনা করতে হয়, কথাটা বার বার আমি বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পৌরকর নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে অথচ আজ পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি। তবুও সিটি করপোরেশনের সড়ক ও জনপথের উন্নয়ন, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, নালা ও খাল পরিচ্ছন্ন রাখা, জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে, সভাপতি আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরামর্শকে স্বাগত জানাই। ’

সব ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তির ঊর্ধ্বে উঠে সহযোগিতা করবেন প্রত্যাশা জানিয়ে মেয়র বলেন, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ, গ্যাস, চউক, ওয়াসা, বন্দর, পুলিশ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময়কে আমি সাধুবাদ জানাই। তবে কার্যকরী কমিটির সভা করে এ সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে সংগঠন গতিশীল হতো, নেতৃত্বের ভাবমূর্তি বিকশিত হতো বলে আমি মনে করি।

মেয়র বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশনেও অ্যাসেসমেন্ট  শুরু হয়েছে, একই আইনের ধারা প্রয়োগ করে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তো কোনো পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা ঐ বিষয়ে কোনো সভা-সমাবেশ বা  বিবৃতিও প্রদান করেননি। ’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের ৬টি আসনেই জয়লাভ করতে চান জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রতিটি আসনে দলের একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তভাবে মনোনিত করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রার্থিতা নিয়ে কোনোরূপ দলীয় কোন্দল কাম্য নয়। আমাদের দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করার চেষ্টা করতে হবে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারণায় দলের সাধারণ নেতা, কর্মীরা স্বাভাবিক ভাবেই বিভ্রান্তির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছেন-যা কাম্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।