তবে আটকের প্রায় ২০ ঘণ্টা পরও মঞ্জুরুলকে আদালতে সোপর্দ করেনি পুলিশ। এমনকি জয়নাল আবেদিনের ভাই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীর মামলার এজাহার জমা দিলেও পুলিশ সেটি গ্রহণ করেনি।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এজাহার জমা দিয়েছিল।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য এস এম আলমগীরের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্রমতে, রোববার সকালে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন থানায় গিয়ে মঞ্জুকে ছাড়ানোর তদবির করেন। এসময় গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রাম এবং কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপ দেন।
কিন্তু পুলিশ একজন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে মঞ্জুকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তাকে ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করেন।
দুপুর ২টার দিকে জয়নালের ভাই আলমগীর থানায় এজাহার জমা দেন। এরপর চাপ আরও জোরালো হয়।
জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অনেকেই থানায় ফোন করেছেন। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই, বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির ভাইও ফোন করেছেন। রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার বাবুল ভাইও থানায় গিয়েছিলেন। আফটার অল, মঞ্জু তো আওয়ামী লীগের নেতা। ভাইয়ে ভাইয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটাকে আর বাড়তে দেওয়া উচিৎ নয়।
সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হয়ে গেছে। আলমগীর ইমোশনাল ছিলেন। সেজন্য এজাহার দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আশা করি সেটা তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন।
সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে একজনকে আহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ডিসি মোস্তাইন কোন উত্তর দেননি।
যুবলীগ নেতাকে গুলি, আ’লীগ নেতা মঞ্জুরুল আটক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঞ্জুরুল আলম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব। জয়নাল আবেদিন আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ঘনিষ্ঠজন।
শনিবার রাত ১২ টার দিকে নগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। অফিসার্স ক্লাবের ভেতরে কথা কাটাকাটির পর বের হয়ে দুজন ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে মঞ্জুরুল তার পিস্তল বের করে জয়নালকে গুলি করেন।
বাংলাদেশ সময় ১০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
আরডিজি/টিসি