রোববার (২২ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য সচিব বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি।
রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের কথাও জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক।
তিনি বলেন, আমরা কোন লবিং বা প্রেসার নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গার বিষয়ে কাজ করছিনা।
এদিকে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদা বলেন, মিয়ানমারে যারা গণহত্যাসহ নানা নির্যাতন করেছে তাদের বিচার যেমন চাইবো, তেমনি কোন গোষ্ঠী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে তাদেরও বিচার চাওয়া হবে।
‘মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনার কারনে বাংলাদেশের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে তার জন্য আন্তর্জাতিক আইনে মামলা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’ বলেন শামসুল হুদা
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোন নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে কিনা তার জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
২১ ও ২২ অক্টোবর দুইদিন কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়ে উদ্বাস্তূ হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জবানবন্দি নেন নাগরিক কমিশনের সদস্যরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক, প্রাক্তন আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশিদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, মমতাজ লতিফ ও বৃটিশ সমাজকর্মী জুলিয়াস ফ্রান্সিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
আরডিজি/টিসি