ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গৃহকর নিয়ে চসিকের আপিল নিষ্পত্তি শুরু রোববার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
গৃহকর নিয়ে চসিকের আপিল নিষ্পত্তি শুরু রোববার ২৭তম সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: ১৬ ওয়ার্ডে ১৪ শতাংশ, ২৫ ওয়ার্ডে ১৭ শতাংশ গৃহকর, পরিচ্ছন্ন ও আলোকায়ন রেইটের ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিক পুনর্মূল্যায়নের ওপর আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) আপিল নিষ্পত্তি শুরু করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রাথমিকভাবে আগের আপিল বোর্ড দিয়েই নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে সাতটি নতুন আপিল বোর্ড গঠন করা হবে। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার আপিল জমা পড়েছে।

রোববার (২২ অক্টোবর) নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ২৭তম সাধারণ সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব তথ্য জানান।

প্রসঙ্গক্রমে মেয়র বলেন, আইন ও বিধির বাধ্যবাধকতায় চসিকের যে পঞ্চবার্ষিক পুনর্মূল্যায়ন তার বিরুদ্ধে যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন অপপ্রচার চালাচ্ছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, হোল্ডিং মালিকদের আপিল বোর্ডে আসার ব্যাপারে বাধা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন তারা আইন বিরোধী কাজ করছেন।

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন তারা। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হবে।
মামলা হবে।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৫০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত ট্যাক্স নির্ধারণের যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা তথ্যবিচ্ছিন্ন এবং মিথ্যাচার। নতুন অ্যাসেসমেন্টে ট্যাক্স বেড়েছে মাত্র ৩ গুণের কাছাকাছি। আগের অ্যাসেসমেন্টে ২০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ট্যাক্স ছিল। আর নতুন অ্যাসেসমেন্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫১ কোটিতে। এর মধ্যে আবার বন্দরের ট্যাক্স আছে ১৬০ কোটি, পাশাপাশি রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স। তাহলে ৮৫১ কোটি টাকা থেকে বন্দর আর অপরাপর প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স বাদ দিলে জনসাধারণ পক্ষের ট্যাক্স বাড়ে মাত্র ৩ গুণের কাছাকাছি।     

বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বাংলানিউজকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল না করলে আইন অনুযায়ী ধার্যকৃত ট্যাক্স বহাল থেকে যাবে। তাই হোল্ডিং মালিকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ৫৫ কাউন্সিলর নিজ নিজ এলাকায় ক্যাম্পেইন, সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ যদি কারও প্ররোচনায় আপিল না করেন তাহলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা তিন বছর পর কাউন্সিলর বা মেয়র থাকব না। কিন্তু ধার্যকৃত ট্যাক্স থেকে যাবে।

তিনি বলেন, আপিল বোর্ডে শুনানি চলাকালীন নগর মহল্লা সর্দার কমিটির প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাবিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যারা গৃহকর নিয়ে মামলা করেছিলেন তারা হেরে গেছেন। আদালত চূড়ান্তভাবে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন তারা অন্যদের প্ররোচিত করছে আপিল না করতে। এটা অন্যায়। সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের পক্ষে দাবি জানিয়েছেন, যারা ট্যাক্স দিতে নিষেধ করে, আপিল করতে বাধা সৃষ্টি করে, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদের চিহ্নিত করে সরকারি কাজে বাধা দান কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হোক।

তিনি বলেন, তবে মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী যারা আপিল করবেন তাদের সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হবে গৃহকরের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অসচ্ছল হোল্ডিং মালিকদের গৃহকর মওকুফ করা হবে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।