ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রসংগঠনকে এক কাতারে এনে চবি প্রশাসনের আলোচনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
ছাত্রসংগঠনকে এক কাতারে এনে চবি প্রশাসনের আলোচনা ছাত্রসংগঠনকে এক কাতারে এনে চবি প্রশাসনের আলোচনা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে কখন সব ছাত্রসংগঠন এক সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল সেই কথা বেমালুম ভুলে গেছেন সবাই। এমনিতে তাদের মধ্যে নিয়মিত চলে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’! সেই ছাত্রসংগঠনগুলোকে কী-না এক কাতারে এনে অভিযোগ শুনল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদে (চাকসু) বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। এসময় ছাত্রসংগঠনগুলোও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে প্রশাসনের কাছে।

ছাত্রসংগঠনের মধ্যে স্থগিত হয়ে যাওয়া চবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর টিপু, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া খন্দকার বাধন, ছাত্রফ্রন্টের আহব্বায়ক ফজলে রাব্বি, ওই সংগঠনের আরেক শাথার সভাপতি আইরিন সোলতানা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ও ছাত্রসেনার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে চাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরীসহ সহকারী প্রক্টর ও চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানায় এইসব ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি ও সাধারন শিক্ষার্থীদের কাছে।

প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী এইসময় তাদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সবকটি দোকানের তালিকা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের দাম যাতে বেশি না নেয় সেজন্যই এই তালিকা।

ইতিমধ্যে কয়েকজন দোকানদারদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে কথাও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

জানতে চাইলে মো. আলমগীর টিপু বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মধ্যে চাকসুর বর্তমানে যারা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেয় তাদের পদ বিলুপ্ত করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যাপারটা সমাধান করা ও ক্যাম্পাসে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা পালন করাসহ কয়েকটির বিষয়ে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই। প্রশাসন বিষয়গুলো উপাচার্য স্যারকে অবহিত করে কার্যকরী  উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায়। '

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটি ভালো একটি উদ্যোগ। আমরা মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভিন্ন্ বিষয়ে বলতে পেরেছি। ’

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল চাকসুর খাবারের দাম আগের নিয়মে নিয়ে আসা। প্রশাসন খাবারের মান বৃদ্ধি হওয়ার কারণে দাম বাড়ার বিষয়টি জানায়। ’

এসব বিষয়ে প্রক্টর মো.আলী আজগর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, 'চাকসুর খাবারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে কারণ এর মান বৃদ্ধি করা হয়েছে।  সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবারের মান বাড়ায় খুশি হয়েছে। আমরা চাকসুর পরিচালককে বিষয়টি বলে রেখেছি, যাতে খাবারের মানটা ধরে রাখে। '

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,' চাকসুর ভিপি-জিএস’রা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত না হলেও পদগুলো কার্যত বিলুপ্ত। কারণ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নেই। যেহেতু বিলুপ্তির বিষয়টি উঠেছে, আমি উপাচার্য স্যারকে বিষয়টি অবহিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেব। ’

শিক্ষার্থীরা যাতে অল্প টাকায় খাবার পায় সেজন্য দোকানদারদের তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'খাবারের দাম যাতে বেশি না নেয় সেজন্য দোকানদারদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে তাদের অবহিত করব। '

তিনি বলেন, ‘এভাবে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা সামনে আরও বসব, আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।