চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পরই আমাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন। আশাকরি ১৯৮৮ সালে সৃজিত পদগুলোর ভূতাপেক্ষ সম্মতি পেয়ে যাব আমরা।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম। প্রধান সমুদ্রবন্দরের শহর চট্টগ্রাম।
তিনি জানান, প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রামে বেশ কিছু নতুন বিভাগ সৃজন করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৪৫৫টি পদ প্রস্তাব করা হয়েছে। আশাকরি, ১০ হাজার পদও যদি অনুমোদন হয় অর্গানোগ্রামে তবে প্রচুর দক্ষ জনবল যেমন নিয়োগ হবে তেমনি কাজ বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সেবাও শতভাগ নিশ্চিত হবে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়, চসিকের সাংগঠনিক কাঠামো ১৯৮৮ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। অনুমোদন সময়সাপেক্ষ বিধায় ওই সময় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১৬ এপ্রিল ১৯৮৯ তারিখে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নিয়োগবিধি সরকারি গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় সৃষ্ট প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলো পূরণের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বাছাই কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটি দুটির নির্দেশনা মোতাবেক আগের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ‘দ্যা লোকাল কাউন্সিলস সার্ভিস রুলস ১৯৬৮’ এর তফসিল অনুসরণপূর্বক নিয়োগ যোগ্যতা নির্ধারণ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো।
চিঠিতে বলা হয়, ১৯৮৮ সালে সৃজিত পদের মধ্যে বর্তমানে স্থায়ীভাবে ২ হাজার ৮৫৫ জন কর্মরত আছেন। শূন্য পদ আছে ৩২৫টি। এসব শূন্যপদের বিপরীতে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োজিত আছে। ২০১২ সালেও খসড়া নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
২৮ বছর পর চসিকের অর্গানোগ্রাম প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে
৫৫০৯ পদ বাড়ছে চসিকের নতুন অর্গানোগ্রামে
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি