ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৪ শতাংশ গৃহকর ও রেইট চসিকের ১৬ ওয়ার্ডে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
১৪ শতাংশ গৃহকর ও রেইট চসিকের ১৬ ওয়ার্ডে ১৪ শতাংশ গৃহকর ও রেইট চসিকের ১৬ ওয়ার্ডে

চট্টগ্রাম: গৃহকর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আলোকায়ন মিলে ১৭ শতাংশ নিয়ে নগরীর রাজনীতিক, করদাতা সুরক্ষা পরিষদসহ বিভিন্ন মহল সোচ্চার হলেও ১৬টি ওয়ার্ডে ধার্য করা হয়েছে ১৪ শতাংশ। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স, ৪ শতাংশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ৩ শতাংশ আলোকায়ন রেইট মিলে ১৪ শতাংশ গৃহকর ধার্য করা ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী, ২ নম্বর জালালাবাদ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ, ৫ নম্বর মোহরা, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া, ৩৭ নম্বর মুনিরনগর, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা।  

সাবেক মেয়রের আমলে কনজারভেন্সি ও নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড হিসেবে যে ভাগ করা হয়েছিল তা-ই বহাল রেখেছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

যদিও ৪১টি ওয়ার্ডেই ডোর-টু-ডোর কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে বিন বিতরণ এবং গৃহস্থালি আবর্জনা সংগ্রহের রিকশাভ্যান চালানো ও বর্জ্য সংগ্রহের জন্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ৪০টি ওয়ার্ডেই ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালু রয়েছে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইনি বাধ্যবাধকতায় পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুর ‍হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। শেষ হয় চলতি বছরের আগস্টে। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট হোল্ডিং ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪৬টি। বর্তমানে ২৮ হাজার ৭০২টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি। সব মিলে ৫২৬৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত মূল্যের বিপরীতে কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাত থেকে আসবে ৫৭১ কোটি ২৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭০০ টাকা, যা আগে ছিল ১২৮ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ১৪৮ টাকা।

১৬ ওয়ার্ডে ১৪ শতাংশ কর ও রেইট নির্ধারণ প্রসঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড হিসেবে ১৪ শতাংশ কর ধার্য করা হলেও সেখানে কিন্তু আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবাটা দিচ্ছি। ডোর-টু-ডোর কার্যক্রমের জন্য বিন বিতরণ করেছি। জনবল নিয়োগ দিয়েছি। শুধু ১ নম্বর ওয়ার্ডে ডোর-টু-ডোর কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। শিগগির আমরা ডোর-টু-ডোর কার্যক্রমে শতভাগ সাফল্য দেখতে চাই। পুরো নগরীকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি লাইটের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা মেয়াদে নগরীর এক ইঞ্চি সড়কও কাঁচা থাকবে না।

১৭ শতাংশ বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চিলে কান নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। ১৬টি ওয়ার্ডে যে ১৪ শতাংশই ধার্য করা হয়েছে সেটি কি তারা জানে? এরপরও আপিলের সুযোগ রয়েছে। কর পুনর্মূল্যায়নে আপত্তি, অনিয়ম হয়েছে মনে হলে হোল্ডিং মালিকরা আপিল বোর্ডের কাছে উপস্থাপন করবেন। এটিই একমাত্র সমাধান। এর কোনো বিকল্প নেই।

১৯৯৪ সালে বেতন ১৭ কোটি, এখন ১৯১ কোটি

গৃহকর কমাতে একমাত্র উপায় আপিল করা: নাছির

আইন ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নই: মেয়র নাছির

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।