২০১৩ সালে অক্টোবরে প্রথম ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে অপারেশন করা হয়। ।
কিছুদিন পর আবারও প্রচণ্ড ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়েন শিউলী।
সেখানে ক্যান্সার নিরাময়ে কেমো ও রেডিও থেরাপি দেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়েল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দু’মাস চিকিৎসা করে এরইমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
আদরের বোনকে বাঁচাতে অস্থির ভাইয়েরা বিক্রি করেছে জমি। মুম্বাইয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় শিউলী দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও প্রচণ্ড হাড়ের ব্যথা শুরু হয়। অসহ্য ব্যথায় দু’চোখে অন্ধকার দেখেন শিউলী। বন্ধ হয়ে যায় স্কুলে যাওয়া। পরবর্তীতে আবারো নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়েল হাসপাতালে। এবার ক্যান্সার ধরা পড়ে পুরো শরীরে। অনেকটা হতাশ হয়েই মুম্বাই থেকে দেশে ফিরে আসেন শিউলী। কিন্তু হাল ছাড়েননি তার ভাইয়েরা।
একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সন্ধান পেয়ে তারা আবারও আশায় বুক বাঁধে। ডাক্তার শুনিয়েছেন আশার বাণী। দেওয়া হয় ছয়টি ইঞ্জেকশন যার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সাথে সহায়ক ইঞ্জেকশন এবং ওষুধও চলবে। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ক্যান্সারের পরীক্ষা করা হয়। খুশিতে মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ওই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের।
ক্যান্সারের মাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। ডাক্তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া ভাইদের জন্য কষ্টসাধ্য। প্রয়োজন আরও বিশ লাখ টাকা।
দু’সন্তানের জননী শিউলীর স্বামী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কিন্তু শিউলি বাঁচতে চান। দশটা মেয়ের মতো, মায়ের মতো সন্তানদের পাশে থাকতে চায়। দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা চেয়েছেন।
সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ১৬২**০১২৮৪৯**, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, চকবাজার শাখা, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এসবি/টিসি