ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নীলা চৌধুরী বলার পর লুসি বিউটি পার্লারে তল্লাশি কেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
‘নীলা চৌধুরী বলার পর লুসি বিউটি পার্লারে তল্লাশি কেন’ লুসি বিউটি পার্লারে অভিযান

চট্টগ্রাম: নারীদের বিউটি পার্লারে পুরুষ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুনের অভিযানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজাত ‘লুসি বিউটি পার্লারের’ আইনজীবী আহসানুল হক হেনা।  প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীর ‘লুসি বিউটি পার্লার বন্ধ ও বর্জনের’ আহ্বানের সঙ্গে অভিযানের কোন যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

লুসি বিউটি পার্লারে আলোচিত অভিযানের এক সপ্তাহ পর বুধবার (১৮ অক্টোবর) অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা গণমাধ্যমে এই বক্তব্য পাঠিয়েছেন, যিনি অভিযানের খবর শুনে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন।

গত ১১ অক্টোবর নগরীর মেহেদিবাগ এলাকায় অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন।

  মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ আইটেম, শ্যাম্পু-কসমেটিকস জব্দের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আহসানুল হক হেনা বলেন, ‘আমি বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছিলাম, আপনি মহিলাদের বিউটি পার্লারে পুরুষ নিয়ে ঢুকলেন কেন? উত্তরে তিনি বললেন, জানেন না।

  তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে পুরুষরা কিভাবে মহিলাদের বিউটি পার্লারে অনুপ্রবেশ করলেন? এটা তো বেআইনি। ’

বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে থেকে জনৈকা নীলা চৌধুরী বিভিন্ন সমাবেশে বলে এসেছেন যে, লুসি বিউটি পার্লার বন্ধ ও বর্জন করার কথা।

প্রসঙ্গত লুসি বিউটি পার্লারের মালিক প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র শাশুড়ি।   আর তার মা নীলা চৌধুরী সম্প্রতি চট্টগ্রামে এসে সালমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য শ্বশুর পরিবারকে দায়ী করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আহসানুল হক হেনা বাংলানিউজকে বলেন, নীলা চৌধুরী নামে এক মহিলা মিটিং করে লুসি বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।   এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে।   নীলা চৌধুরীর ইন্ধনে অভিযান হয়েছে, সেটা আমি বলব না।   তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, নীলা চৌধুরী বলার পর তল্লাশি কেন ?

অ্যাডভোকেট হেনা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তানিয়া মুন একদল আনসার এবং ১০-১৫ জন সাংবাদিক নিয়ে লুসি বিউটি পার্লারে প্রবেশ করেন।   নিরাপত্তা প্রহরী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আনসার ছাড়া অন্যদের প্রবেশে বাধা দিলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়।  

এসময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।   আনসার সদস্যরা জেনারেটর বন্ধের নির্দেশ দেন।   অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে রূপসজ্জার জন্য আসা অনেক মহিলা ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন এবং বিল পরিশোধ না করে চলে যান।   এতে লুসি বিউটি পার্লার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

লুসি বিউটি পার্লারের মালিক লুসি দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।  

ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে অভিযানের ভিডিও ছেড়ে দেন এবং শেয়ার করেন উল্লেখ করে এই আইনজীবী দাবি করেছেন, এটাও বেআইনি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট পার্লারের স্টোর রুম থেকে খালি কৌটা বের করে সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ।   অথচ জব্দ তালিকায় কোন আইটেমের মেয়াদোত্তীর্ণের কথা উল্লেখ নেই।  

লুসি বিউটি পার্লারে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করার কথা আদৌ সত্য নয় বলে দাবি আইনজীবী হেনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭

আরডিজি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।