মেয়র বলেন, এখানে কোনো রাজনীতি, সংকীর্ণতা বা উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। এটি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব।
আরও সহযোগিতার জন্য চসিকের হেড অফিস ছাড়াও প্রতিটি কাউন্সিলর অফিস আপিল ফরম সংগ্রহ ও জমা নেবে। আপিল বোর্ড দ্রুত কাজ শুরু করবে। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার আপিল জমা পড়েছে চসিকে। আইনি কাঠামোয় থেকে যত সুযোগ আছে নগরবাসীর জন্য করব, সহায়তা ও ছাড় দেব।
তিনি বলেন, ‘আমার দুয়ার সবার জন্য খোলা। যে যখন কথা বলতে চান আমি শুনব। ’
ভাড়ার ওপর কর নির্ধারণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আইনি কাঠামোতে ভাড়ার বাইরে গিয়ে কিছু করার এখতিয়ার, বিধান, ক্ষমতা নেই। আমরা লিফলেট, মাইকিং, বিজ্ঞপ্তিতে বারবার বলেছি কোনো অ্যাসেসর যদি দুর্ব্যবহার করে, অনিয়ম করে জানাতে। কিন্তু আমাদের কাছে একজন নগরবাসীও অভিযোগ করেননি। তারপরও বলছি, কারও বক্তব্য থাকলে আপিলের সময় ধৈর্য ধরে শুনব। আন্তরিকভাবে বিবেচনা করব।
‘বাসা-বাড়ি খালি থাকলে কর রেয়াত সুবিধা আছে। জলাবদ্ধতা বা অন্য কারণে বছরের পর বছর খালি থাকলে করের আওতামুক্ত থাকবে। ’
সাবেক মেয়রদের দিকে ইঙ্গিত করে নাছির বলেন, এ চেয়ারে যারা বিগত দিনে দায়িত্ব পালন করেছেন, নগরবাসীকে সেবা দিয়েছেন, চট্টগ্রামকে আজকের অবস্থানে আনার পেছনে যারা শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাব চসিককে সহযোগিতা করুন। আমি এ শহরে সব রাস্তা পাকা করে দেব। এক ইঞ্চিও কাঁচা রাস্তা থাকবে না। শহরটাকে পরিপূর্ণ আলোকায়ন করব। দৃষ্টিনন্দন-পরিপাটি শহর নগরবাসীকে উপহার দেব।
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সরকার ও মন্ত্রণালয় চসিককে বেশি সহযোগিতা দিচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, বর্তমান সরকারের শতভাগ ও মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই আমি জোর গলায় বলতে পারছি এ নগরের এক ইঞ্চি সড়কও কাঁচা থাকবে না।
গৃহকর বৃদ্ধি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বলেন, জনগণ বোকা নয়। চসিকের গৃহকরের সঙ্গে আ’লীগের ভোট নির্ভর করছে না। খোলাবাজারে চালের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। বাস্তবতা বুঝতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি