সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, যান্ত্রিক বিভাগের গাফিলতির কারণেই দেশের জনপ্রিয় পরিবহন সংস্থার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সঠিক তদারকি হলে অনাকাঙ্খিত এসব ত্রুটির ঘটনা ঘটতো না।
চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও গুডস ট্রেন চলাচলের পথে মোট ১৭টি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আরও ২৭টি ট্রেন বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
যান্ত্রিক বিভাগ জানিয়েছে ভেক্যুয়ামে ত্রুটি দেখা দেওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি। পরে ত্রুটি সারিয়ে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায়। সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।
যান্ত্রিক বিভাগ কাজে সক্রিয় থাকলে ত্রুটি আরও আগে সারানো যেত মন্তব্য করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই বলছেন, এতে বিলম্ব আরও কমে আসতো। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হতেন না।
যান্ত্রিক বিভাগের গাফিলতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (যান্ত্রিক বিভাগ) সঠিক তদারকি করলে যাত্রার আগে ত্রুটি ধরা পড়তো না। পাহাড়তলী ইয়ার্ডে থাকা অবস্থায় ট্রেনের সবকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার কথা। সেখানে ঠিকভাবে চেক করলে স্টেশনে ছাড়ার আগে ত্রুটি দেখা দিবে কেন।
রেলওয়ে জানা গেছে, ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলার পথে পাঁচটি আন্তঃনগর, চারটি মেইল, তিনটি লোকাল ও পাঁচটি গুডস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটেছে। এতে এসব ট্রেনের সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বিলম্ব হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল ট্রেনের কারণে চলার পথে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে আরও ২৭ টিনের যাত্রা বিলম্ব হয়।
মঙ্গলবার সুবর্ণ ট্রেনের যাত্রা বিলম্বের বিষয়ে কথা বলার জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে (ইনচার্জ) একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এমইউ/টিসি